জৈব সার উৎপাদন করছেন সালাউদ্দিন

জামালগঞ্জ প্রতিনিধি
গরুর গোবর, শাক সবজির ফেলে দেওয়া অংশ পচিয়ে উৎপাদিত হয় খামার জাত বা জৈব সার। কয়েক বছর যাবৎ জামালগঞ্জের ভীমখালী ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের কৃষক নূর উদ্দিন খামারজাত সার উৎপাদন করে ব্যাপক সারা ফেলেছেন। তিনি একজন আদর্শ কৃষক ও সবজি চাষী। কৃষকের জমির উর্বরতা বাড়াতে এবং রাসায়নিক সারের প্রভাব কমাতে খাবারজাত সার উৎপাদনে এখন আগ্রহী হচ্ছেন কৃষক।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষক নূর উদ্দিনের বাড়ির সামনে পরিত্যাক্ত জায়গায় গর্ত করে পলিথিন বিছিয়ে গোবর সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এরপর এই গোবর পচিয়ে তার সাথে সাকসবজির অবশিষ্ট অংশ মিশিয়ে কয়েক দিন রাখলেই খামার জাত সার তৈরী হয়। খামারজাত সার এলাকায় জৈব সার হিসাবে পরিচিত। সেই সার কৃষকের জমি সহ আশপাশের বিভিন্ন কৃষকের সবজি চাষে ব্যবহৃত হচ্ছে।
খামার জাত সারের উদ্যোক্তা মো. নুর উদ্দিন বলেন, জামালগঞ্জ কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সত্যেন্দ্র দেবনাথের পরামর্শে এবং উপজেলা কৃষি অফিস থেকে পাকা পিলার টিন ও নগদ অর্থ সহ প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিয়ে খামার জাত সার তৈরির যাত্রা শুরু করি। খামার জাত সার তৈরী এবং বিভিন্ন সবজি বাগানে ব্যবহার করে সফলতা পেয়েছি আমি। এই সার তৈরী দেখে অনেকে এই পদ্ধতি ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন শাকসবজির ফেলে দেওয়া অংশ ও অর্ধ পচা গোবর একসঙ্গে মিশিয়ে কিছুদিন রাখলেই খামারজাত সার তৈরি হয়। সেই সার নিজের চাহিদা মিটিয়ে আশে পাশের সবজি চাষিদের ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হয়। এই সারের সবজি বিষমুক্ত হওয়ায় বাজারে সবজির চাহিদাও অনেক বেশী।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আলা উদ্দিন বলেন, সবজি চাষে রাসায়নিক সারের ব্যবস্থা কমিয়ে (জৈব সার) খামার জাত সারের প্রাধান্য দিয়ে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করা যায়। এই সবজির বাজারে চাহিদা বেশী থাকে। এছাড়াও মাটির গুণাবলী কয়েগুণ বৃদ্ধি পায় এই সার ব্যবহারে। আমরা কৃষকদেরকে খামারজাত সার তৈরিতে উদ্বুদ্ধ করছি।