টমেটোর বাম্পার ফলনেও হতাশ কৃষক

জামালগঞ্জ প্রতিনিধি
জামালগঞ্জে এবার টমেটোর বাম্পার ফলন হলেও দাম কমে যাওয়ায় হতাশ কৃষকরা। গত বছর এই সময়ের তুলনায় এবার টমেটোর দাম অনেক কম। আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় হতাশ কৃষক। এতে উৎপাদন খরচ উঠলেও তেমন লাভ হবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন তারা। দাম কমে যাওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি নেই। টমেটো সংরক্ষণে এ অঞ্চলে কোন হিমাগার না থাকায় বাধ্য হয়েই কম দামে টমেটো বিক্রি করছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় এ বছর টমেটো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৪৮০ হেক্টর। তবে জমিতে চাষ হয়েছে ৫১০ হেক্টর জমিতে। লাভজনক হওয়ায় টমেটো চাষে আগ্রহী হয়েছে কৃষকরা। উন্নত মানের বিজলী, মানিক রতন, সুফলা জাতের টমেটো চাষ করে ভালো ফলনও পাচ্ছেন কৃষকরা। উপজেলার টমেটোর বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। যা উপজেলায় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, ভৈরব, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ সহ বিভিন্ন দেশের জেলায় যাচ্ছে। উপজেলায় প্রতিবছর প্রায় ১০ কোটি টাকার টমেটো উৎপাদন হলেও হিমাগার না থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকরা।
সরজমিনে জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চানপুর, লালপুর, সংবাদপুর, কাশীপুর, কালাগুজা, ইউসুফনগর গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে টমেটোর বাগান। সবুজে ছেয়ে গেছে মাঠের পর মাঠ। কেউ টমেটো বাগানের যতœ নিচ্ছেন আবার কেউবা টমেটো বাজারজাত প্রক্রিয়ায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কৃষক ইয়ার আলী, আমির হোসেন, আব্দুল কাদির, জানান একদশক ধরে অঞ্চলে টমেটোর ভাল ফলন হয়। কিন্তু আশানুরুপ দাম পাচ্ছি না আমরা। প্রথমে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করলেও এখন বিক্রি করছি ৫ টাকা কেজি। এসব টমেটো সংরক্ষণে কোন হিমাগার নেই। হিমাগার থাকলে সংরক্ষণ করে বিক্রি করলে আরও বেশী লাভবান হতে পারতাম।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান টমেটোর বাম্পার ফলনে দিন দিন টমেটো চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। এবার উপজেলার উৎপাদিত টমেটোর বাজার মুল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। তবে এখানে হিমাগার না থাকায় কৃষকরা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্বীকার করে তিনি বলেন, সরকারি কিংবা বেসরকারি উদ্যোগে হিমাগার নির্মাণ করা হলে উপজেলায় সবজি উৎপাদন আরও অনেকটা বাড়বে। কৃষকরাও লাভবান হবেন।