টিসিবির রমজানের পণ্য বিক্রয় শুরু হয় নি

বিশেষ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জ পৌর এলাকাসহ জেলার কোন পৌর এলাকায় টিসিবির রমজানের পণ্য বিক্রয় শুরু হয় নি। সিলেট বিভাগের কেবল হবিগঞ্জ পৌর এলাকায় বৃহস্পতিবার কার্ডধারীরা পণ্য কিনতে পেরেছেন। ওখানকার টিসিবি ডিলাররা পণ্য তুলে বৃহস্পতিবার বিক্রয় করেছেন। সুনামগঞ্জ পৌরসভার তিনজন ডিলার অর্থ জমা দিলেও বৃহস্পতিবার ডিও না পাওয়ায় তাদের পণ্য ওঠানো হয় নি।
জেলার ১২ উপজেলার নি¤œআয়ের এক লাখ ১৪ হাজার ৯১০ জনের টিসিবি কার্ড আছে। এই কার্ডধারীরা রমজান মাসে দুইবার টিসিবি’র পণ্য কিনতে পারবেন। একজন কার্ডধারী প্রতিবার এক কেজি চিনি ৬০ টাকা, এক কেজি ছোলা ৫০ টাকা, দুই কেজি মুসুরি ডাল ১৪০ টাকা এবং দুই লিটার সোয়াবিন ২২০ টাকায় পাবেন।
বৃহস্পতিবার থেকেই টিসিবির এই পণ্য সুনামগঞ্জ পৌর এলাকায় বিতরণ হবার কথা ছিল। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে তিনজন ডিলার অর্থ জমা দিয়েও ওইদিন ডিও পান নি।
দিরাই, ছাতক ও জগন্নাথপুর পৌরসভা এলাকার কোন ডিলারও পণ্য তুলেন নি।
জেলা প্রশাসকের বাজার শাখার কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম বললেন, গত রোববারই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে রমজানের টিসিবি পণ্যের জন্য ডিলারদের ডিও দেবার জন্য অনুরোধ করে চিঠি পাঠানো হয়। ওইদিন টিসিবির সিলেট আঞ্চলিক কার্যালয়ে চিনি ছিল না, এটিও জানানো হয়। কিন্তু মঙ্গলবার আবার সংশোধিত চিঠি পাঠিয়ে বলা হয়, চিনি এসেছে, চিনিসহ যেন ডিও দেওয়া হয়।
গত বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জের পৌর এলাকার ডিলারগণ রমজানের পণ্য তুলে শহরে বিক্রয় করেন। দেশের অন্যান্য অনেক অঞ্চলেও পণ্য তুলে বিক্রয় হয়।
সুনামগঞ্জ পৌর এলাকার নয় জন ডিলারের মধ্যে তিনজন ডিলার পণ্য তোলার অর্থ জমা দিয়ে ডিও নেবার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে গেলেও ওইদিন তারা ডিও পান নি।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম বললেন, টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে নয় মার্চের পরে ডিও দেবার জন্য। এজন্য ওই দিন অর্থাৎ নয় মার্চ বৃহস্পতিবার ডিও দেওয়া হয় নি।
টিসিবির সিলেট অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক ইসমাইল হোসেন অবশ্য জানিয়েছেন, সুনামগঞ্জে ৯০ জন ডিলার আছেন। যেহেতু মালামাল সকলকে দেবার মত এখনো পাওয়া যায় নি, এজন্য তারা আগে জেলা সদরের পৌর এলাকায় দেবেন। পরে দেবেন উপজেলা সদরের পৌর এলাকাসহ উপজেলা সদরে।
নয় তারিখে সুনামগঞ্জের কোন ডিলারই আসেন নি। আমাদের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে কেউ কেউ জানিয়েছেন, তারা অর্থ জমা দিয়েছেন কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ থেকে ডিও পান নি। হবিগঞ্জের ডিলাররা কেবল ডিও নিয়ে এসেছেন। তারা মালামাল তুলে বিক্রয়ও করে দিয়েছেন।