শান্তিগঞ্জ অফিস
শান্তিগঞ্জের সদরপুর গ্রামের সড়ক ও সদরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নিমার্ণের কাজ ঠিকাদারের গাফিলতিতে ঝুলে রয়েছে। এদিকে সড়ক ও বিদ্যালয়ের কাজ না হওয়ায় সদরপুরসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এই সড়ক দিয়ে সদরপুর, পার্বতীপুর, তালুকগাঁও, কামরুপদলং গ্রামের কয়েক হাজার লোকজনকে প্রতিনিয়ত চলাচল করতে হয়। বর্ষায় কাদায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ মানুষজনকে।
জানা যায়, তিন মাস আগে ১ কোটি ৪২ লাখ ৩৭ হাজার টাকা ব্যয়ে সদরপুর ভায়া কামরুপদলং ৫শ’ মিটার আরসিসি সড়কের কাজ পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মাহবুব এন্টারপ্রাইজ। কাজ পাওয়ার পর পুরাতন সড়কের ব্লক তুলে ফেলে ঠিকাদার। বৃষ্টির মৌসুম শুরু হবার আগে সড়কের দুইপাশে মাটি ভরাটসহ গার্ড ওয়াল দিয়ে আর সিসি ঢালাই করার কথা থাকলেও কোন কাজই করে নি ঠিকাদার। বৃহস্পতিবার বৃষ্টি হতেই সড়কে কাঁদায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
এদিকে, একই সময়ে ৭৮ লাখ ৫ শ’ টাকা ব্যয়ে ৪ তলা বিশিষ্ট ভবনের দ্বিতীয় তলা পর্যন্ত সদরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শহিদুল ইসলাম এন্টারপ্রাইজ। কাজ পাওয়ার পর শুধুমাত্র সেন্টফিলিং করার পর ভবনের কাজ অসমাপ্ত রেখে দিয়েছে ঠিকাদার। এতে করে সদরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
সদরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বললেন, এলাকাবাসীর চলাচলের সড়ক ও বিদ্যালয়ের ভবনের কাজ ঠিকাদারগণ গাফিলতি করে ফেলে রেখেছে। বৃষ্টির দিন আসলে সড়কের পাশে মাটি ভরাট, গার্ডওয়াল সহ ভবনের কাজ করা ঠিকাদারের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়বে। বারবার তাগিদ দেওয়ার পরও ঠিকাদারগণ পাত্তা দিচ্ছেন না।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মাহবুব এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মাহবুব আলম জানান, খুব শীঘ্রই কাজ শুরু করা হবে।
ঠিকারদারী প্রতিষ্ঠান শহিদুল ইসলাম এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী শহিদুল ইসলাম বললেন, এখন মালামালের দাম চড়া, মালের দাম কিছুটা কমলে কাজ শুরু করব।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী আল নুর তারেক জানান, সড়কের কাজের ঠিকাদারকে তিন বার চিঠি দেওয়ার পরও কাজ শুরু করছে না। ভবনের কাজ কয়েকদিনের মধ্যে শুরু হবে।
- মানুষের অধিকার আদায়ে আন্দোলন করছি- নাছির চৌধুরী
- ভূমিহীনমুক্ত হচ্ছে বিশ্বম্ভরপুর