ডোপ টেস্ট ভোগান্তি, বেকায়দায় লাইসেন্স প্রত্যাশিরা

স্টাফ রিপোর্টার
সড়কে গাড়ি চালাতে হলে গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের পাশাপাশি থাকতে হয় ড্রাইভিং লাইসেন্স। চালকদের লিখিত, ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষা পাস করার পর ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। কিন্তু চলতি বছরের ৩০ শে জানুয়ারি থেকে পেশাদার চালকদের ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করে বিআরটিএ। ডোপ টেস্ট ছাড়া মিলবে না লাইসেন্স। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে ডোপ টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট। ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসলে ঐ ব্যাক্তি মাদকাসক্ত হিসেবে বিবেচিত হবেন এবং হারাবেন ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্যতা। এছাড়াও লাইসেন্সবিহীন যানবাহন চালালে পড়তে হবে মামলা, জরিমানার মুখে। বিআরটিএ’র পরিপত্র অনুযায়ী পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে বা নবায়ন করতে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি থেকে সরকার অধিভুক্ত হাসপাতাল বা ল্যাবরেটরি থেকে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এদিকে, নির্দেশনার ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও সুনামগঞ্জে চালু হয়নি ডোপ টেস্ট কার্যক্রম। জেলা সদর হাসপাতালেই ডোপ টেস্ট পরীক্ষা কার্যক্রম চালু করতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ডোপ টেস্ট করাতে না পেরে সুনামগঞ্জ বিআরটিএ অফিসে আটকে আছে শত শত লাইসেন্স প্রত্যাশীদের আবেদন। এতে নতুন করে ভোগান্তিতে পড়েছেন চালকরা। বিয়ারটিএ’র লিখিত, ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চালকরা অপেক্ষায় আছেন শুধু ডোপ টেস্ট রিপোর্টেও জন্য। ডোপ টেস্টে নেগেটিভ আসার পরে করতে পারবেন ফিঙ্গার প্রিন্ট সহ অন্যান্য কার্যক্রম।
সুনামগঞ্জ বিআরটিএ সূত্রে জানা যায়, ৩০ জানুয়ারির পর থেকে নতুন নিয়ম চালু হওয়ার পর পাঁচ শতাধিক পুরনো লাইসেন্স নবায়ন ও নতুন লাইসেন্স আবেদনকারীদের কার্যক্রম আটকে আছে। এতে করে লাইসেন্স জটে আটকে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদনকারী শামিম আহমেদ বললেন, এক মাস আগে সকল ধরনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও এখন শুধু ডোপ টেস্টের জন্য অপেক্ষায় আছি। কবে কার্যক্রম শুরু হবে কিছুই জানি না। শুরু হলেও এটা নিয়ে চলবে জনসাধারণের ভোগান্তি আর দালালদের ব্যবসা। এটি যেন সুন্দর ব্যবস্থাপনায় হয় এটাই কাম্য।
বিআরটিএ সুনামগঞ্জ সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক সফিকুল ইসলাম বললেন, নির্দেশনা অনুযায়ী ৩০ জানুয়ারির পর থেকে ডোপ টেস্ট ছাড়া কোন লাইসেন্স আবেদন আমরা নিচ্ছি না। ডোপ টেস্টের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে দফায় দফায় যোগাযোগ করেছি। তারা আমাকে ডোপ টেস্ট চালু হয়েছে মর্মে চিঠি দিয়েও জানিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত ডোপ টেস্টের কোনো রিপোর্ট আমাদের কাছে আসে নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডোপ টেস্ট চালু করেছেন এমনটা জানানোর পরও কোন কারণে পরীক্ষা করা হচ্ছে না তা আমরাও বোধগম্য নয়।
এ ব্যাপারে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের উপ—পরিচালক আনিসুর রহমান বললেন, এখনো হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে ডোপটস্ট কার্যক্রম চালু করা হয় নি। নানা কতৃর্পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সুনামগঞ্জে এই কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। বিআরটিএ কর্তপক্ষকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা আগ্রহীদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় পাঠাবেন, লোকবল যেহেতু কম কিছু সময় দিতে হবে। সোমবার তারা কেবল দুজন পাঠিয়েছেন নির্দিষ্ট সংখ্যক আবেদন জমা হলে ২—১ দিনের পরীক্ষা শুরু হবে।