`তারার লাগি মাথা গুজার ঠাঁই অইছে’

‘স্টাফ রিপোর্টার
সুনামগঞ্জের দেখার হাওরপাড়ের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১০ পরিবারকে প্রায় ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০টি ঘর করে দিয়েছে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই এসোসিয়েশন।
বন্যায় গৃহ হারানো ১০ টি পরিবারের প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ ফুট প্রস্ত ও ২১ ফুট লম্বা বসতঘর করে দেয় সংগঠনটি। প্রত্যেক ঘরে ব্যয় হয়েছে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ টাকা। দৃষ্টিনন্দন এই বসত ঘরে দুটি শোবার কক্ষ, একটি রান্নাঘর ও একটি বাথরুম করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরগুলোর চাবি তুলে দেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী পারভেজ, মহাসচিব মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সাহেলা ফারজানা, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারে আলম মাকসুদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ্, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা পারভিন প্রমুখ।
লোহার অ্যাংগেল ও রঙ্গিন ঢেউটিনের স্বপ্নের ঘর পেয়ে খুশী হাওরপাড়ের সুবিধাবঞ্চিত ১০ টি পরিবার।
জাফরপুর গ্রামের আব্দুল ছত্তার বললেন,‘খাইয়া বাইচ্চা (খেয়ে-বেঁচে) থাকারঔ উপায় নাই, যে ঘরখান (ঘরটি) আছিল বন্যায় ভাসাইয়া (ভাসিয়ে) নিছে গি (নিয়েছে), আরেকজনের (অন্যের) বাড়িত আশ্রয় নিছলাম (নিয়েছে), তারা ঘরখান বানাইয়া (তৈরি) দেওয়ায় বাইচ্ছা-কাইচ্ছা (ছেলে-মেয়ে) লইয়া মাথা গুজার ঠাঁই অইছে, তারারে আল্লায় যেন ভালা রাখইন (রাখেন)।’
ঘর পেয়ে একই ধরণের অনূভুতি প্রকাশ করলেন, একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর আলম, সানজব আলী, ওয়ারিছ আলী, আলেয়া বেগম, ডলি বেগম, স্বরুপা বেগম, আমীর আলী ও মালেকা খাতুন। একইসঙ্গে পাশের সাদকপুর জামে মসজিদটির সংস্কার ও আধুনিকায়নের কাজ করে দেয় ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন।
ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সুনামগঞ্জের গৃহহীন মানুষের পাশে দাঁড়ানোয় ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারে আলম মাকসুদ চৌধুরী।
তিনি বললেন, মহৎপ্রাণ এসব মানুষদের বহুদিন মনে রাখবেন, দেখার হাওরপাড়ের বাসিন্দারা।