ধর্মপাশা প্রতিনিধি
পুরোদমে ভোট গ্রহণ চলছে। ঘর গৃহস্থালির কাজ শেষে উচ্ছাস নিয়ে ভোট দিতে আসেন আমেনা খাতুন। ভোটার ক্রমিক নম্বর সংগ্রহ করে নির্ধারিত বুথেও যান। কিন্তু সেখান থেকে জানানো হয় তাঁর ভোট দেওয়া হয়ে গেছে। এতে অবাক হন আমেনা। কোনো উপায় না দেখে বুথ থেকে বেরিয়ে আসেন। ৫ম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের গোলকপুর হাজি আব্দুল হাফেজ স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে বুধবার দুপুরে এমনটি ঘটে। আমেনার বাড়ি ওই ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামে।
ওই ভোট কেন্দ্রে পুরুষ ও নারী ভোটারদের জন্য দুটি আলাদা আলাদা বুথে সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। নারী ভোটার বেশি থাকায় পরে নারীদের জন্য দুটি বুথ করা হয়। এতে করে শান্তিপুর গ্রামের নারী ভোটারদের দ্বিতীয় বুথে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। দুপুর ১টার দিকে ১৪১ নম্বর ক্রমিকের ভোটার আমেনা খাতুন দ্বিতীয় বুথে ভোট দিতে গেলে কর্তব্যরত পোলিং অফিসার সিদ্ধার্থ সরকার তাঁকে (আমেনা) জানান এই ভোট আগে দেওয়া হয়ে গেছে। ১ম বুথ থেকেই আমেনার নামে অন্য কেউ জাল ভোট দিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন পোলিং অফিসার ও একজন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর এজেন্ট। পরে আমেনা ভোট না দিয়ে বাড়ি ফিরেন।
ভোটার তালিকার ছবির সাথে ভোটারের চেহারা মিলিয়ে দেখার দায়িত্বে থাকা ১ম বুথের দায়িত্বপ্রাপ্ত পোলিং অফিসার মো. আবুল কাশেম বলেন, ‘যারা ভোট দিতে আসছে তাদের সবার ছবি দেখেই ভোট দিতে দিচ্ছি। আমার সাথে সোহেল নামের আরও একজন পোলিং রয়েছেন। তিনি এখন নামাজের জন্য বাইরে আছেন। এখন এটি কে করলো কীভাবে বলবো?’
এমনটি হওয়ার কথা নয় জানিয়ে ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ফজলুল হক বলেন, ‘প্রতিটি বুথেই প্রত্যেক প্রার্থীর নিজস্ব এজেন্ট আছে। ভোটারদের যদি তারা সনাক্ত করতে না পারে তাহলে…? এজেন্টদের কমপক্ষে দশ বার বলা হয়েছে ভোট দেওয়ার আগে ভোটারদের চিনবেন। কোনো অভিযোগ থাকলে আগে বলবেন। নারী ভোটার বেশি থাকায় একটি বুথ থেকে দুটি বুথ করা হয়।’
- ঠেলাগাড়ি চড়ে কেন্দ্রে গিয়ে ভাতিজাকে ভোট দিলেন চাচা
- ড্রেজার বোমার বন্ধের দাবি বারকি শ্রমিকদের