এম.এ রাজ্জাক, তাহিরপুর
তাহিরপুরে ১৪১টি বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার না থাকায় মাতৃভাষা দিবসে কলা গাছ, বাঁশ, কাঠ আর কাগজ কাপড়ে তৈরি করা অস্থায়ী শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং আপামর জনতা। শহিদ মিনার মাতৃভাষার জন্য জীবন উৎসর্গের প্রতীক। মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠার সাহসী চেতনা। যেই শহিদ মিনার দেখলে বিন¤্র শ্রদ্ধা মন জাগ্রত হয় রফিক, শফিক, সালাম, বরকত, জব্বারদের মতো ভাষাপ্রেমীর রক্তমাখা দরদ, মমত্ব আর ভালোবাসার দিকে। গৌরবময় সেই ভাষা আন্দোলনের ৭১বছর পার হলেও উপজেলার ১৩৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫টি মাদ্রাসা, ২৩ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩টি কলেজে নেই স্থায়ী শহিদ মিনার। শহিদ মিনার রয়েছে ১০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ১৪টি প্রাক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
সোহালা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবিল ও নাজনীন রাইসা জানায়, আমাদের স্কুলে গত বছরও কলা গাছ দিয়ে শহিদ মিনার বানিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছি। এবারও কলাগাছ দিয়েও শহিদ মিনার বানিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে হয়েছে। বিদ্যালয়গুলোতে একটি স্থায়ী শহিদ মিনার তৈরি করার দাবি জানায় তারা।
সোহালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম সরোয়ার লিটন বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার মতো অধিকাংশ বিদ্যালয়ে কোন শহিদ মিনার নেই। বাধ্য হয়েই কলা গাছ দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে ফুল দিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গ্রামের মানুষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে থাকেন।
তিনি বলেন, পরবর্তী প্রজন্ম ভাষা দিবস সম্পর্কে জানার জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ে স্থায়ী ভাবে শহিদ মিনার নির্মাণ করা জরুরি।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুপ্রভাত চাকমা বলেন, উপজেলার অধিকাংশ বিদ্যালয়ে স্থায়ী ভাবে শহিদ মিনার নাই এটা সত্য। যেগুলোতে স্থায়ী শহীদ মিনার আছে তাতে রং দিয়ে সাজিয়ে ভাষা শহীদের প্রতি শপ্রা জ্ঞাপন করা হয়েছে।
এইদিকে একুশের প্রথম প্রহরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুপ্রভাত চাকমা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুজ্জামান রনি, তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ ইফতেখার হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আবুল হোসেন খান প্রমুখ। এছাড়াও উপজেলার আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা ভিন্ন ভিন্ন ব্যানারে র্যালি ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
- তাহিরপুরে শহিদ দিবস পালন
- শহিদ দিবসে দরগাপাশা ইউপির নানা আয়োজন