তিলের চাষ বাড়ছে জামালগঞ্জে/ প্রত্যাশার চেয়ে বেশী ফলনে খুশী কৃষক

জামালগঞ্জ প্রতিনিধি
তেলের জন্য অন্যতম কার্যকরী ফসল তিলের চাষ বাড়ছে জামালগঞ্জে। জামালগঞ্জে দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে তিল চাষ যা স্থানীয় কৃষকদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। অন্যান্য ফসলের মতো তিন চাষে কোন ঝামেলাও নেই।
উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে পতিত জমিতে তিল চাষ করে প্রত্যাশার চেয়ে বেশী ফলনের জন্য কৃষক খুশী। দামও ভালো পাচ্ছেন চাষীরা। স্থানীয় বাজার সহ দেশে তিলের খুবই চাহিদা থাকায় বিক্রিতে ঝামেলা নেই। এতে ভোজ্য তেলের চাহিদা মেটাতে সম্ভব বলে মনে করেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা। কৃষি অফিসের তথ্য মতে এবছর জামালগঞ্জ উপজেলায় ১০হেক্টর পতিত জমিতে তিল চাষ করা হয়েছে। এরই মধ্যে লক্ষ্যমাত্রায় বেশী তিল উৎপাদন হয়েছে। বারি তিল-২, বারি তিল-৪ এবং বিনা তিল-৩ চাষ করে সফল হচ্ছেন উপজেলায় কৃষকরা।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের নয়াহালট গ্রামের হারুন মিয়া বলেন, তিল লাভজনক একটি ফসল। এবার ২বিঘা পতিত জমিতে তিল চাষ করেছি। এতে খরচ হয়েছে ৬ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় ৫ মন করে তিল হয়েছে। প্রতি মন ৫ হাজার টাকা বিক্রি হলে প্রায় ৫০ হাজার টাকা বিক্রি হবে আমরা আশা করছি।
আগাছা লিয়াতিতে ব্যস্ত নয়াহালট গ্রামের কৃষক মো. ফারুক মিয়া বলেন, ৩ বিঘা জমিতে কৃষি অফিসের পরামর্শে তিল চাষ করেছি। আগে টমেটো করার পর পতিত থাকতো। এবারই প্রথম টমেটো বিক্রি করে তিল চাষ করেছি। সাধারন বীজের তুলনায় এই বীজের উৎপাদন ক্ষমতা বেশী। মাত্র ৮০ থেকে ৯০ দিনেই তিল তোলা যায়। আশা করছি লাভবান হবো।
ভীমখালী ইউনিয়নে বাহাদুরপুরের আব্দুল ওয়াদুদ, জাল্লাবাজ গ্রামের আজিজুল হক ও ইলিয়াছ আলী জানান, প্রত্যেকেই ১০ থেকে ১৫ বিঘা জমিতে তিল চাষ করেছেন। বাড়ির পাশে এই জমিগুলা আগে পতিত থাকতো। এবারই প্রথম কৃষি অফিসের পরমর্শে তিল চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে তিলের দাম অনেক থাকায় লাভবান হবো আশা করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আলা উদ্দিন বলেন, তিলের তেলে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ এবং উমেগা থ্রি ফেটি এসিড। এই তেল ত্বক ও স্বাস্থ্যর জন্য খুবই উপকারী। আমরা তিল চাষীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেই ও বিনামূল্যে বীজ বিতরণ করে থাকি।
তিনি বলেন, তিলের আয়ু ৮০ থেকে ৯০ দিন, সবচেয়ে কম সময়ে এই ফসল ঘরে তুলতে পারে কৃষক। তিল চাষে খরচও অনেক কম। আগাছা পরিষ্কার ও পানি তেমন খরচ হয়নি। বাজারে তিলের চাহিদা থাকায় দিন দিন তিলের চাষে কৃষকরা আগ্রহী হচ্ছেন।