স্টাফ রিপোর্টার
দাওয়াত খেতে ডেকে বন্ধুকে হত্যা মামলায় অপর দুই বন্ধুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলো— কামরুল ইসলাম ও এলাইছ মিয়া। একই সাথে তাদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারদণ্ড প্রদান করা হয়।
রবিবার দুপুরে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মহিউদ্দিন মুরাদ এই রায় ঘোষণা করেন। এদিকে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় একই মামলায় বাছির আলীকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। রায় ঘোষণার সময় আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পি.পি অ্যাড. সোহেল আহমদ ছইল মিয়া। আসামী পক্ষে ছিলেন অ্যাড. মো. ওবায়দুর রহমান চৌধুরী।
জানা যায়, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বাসিন্দা মুজিব, কামরুল ও এলাইছ ৩ জন ব্যবসায়িক বন্ধু ছিলেন। নিহত মুজিবের কাছে ব্যবসা সংক্রান্ত ৫৫ হাজার টাকা পাওনা থাকে আসামি কামরুল ও এলাইছের। মুজিব পর্যায়ক্রমে ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ করলেও ১৫ হাজার টাকা পাওনা থেকে যায়। কনরুল ইসলাম অরফে কামরুল ইসলাম ২০০২ সালের ২২ জুন বিরোধ নিষ্পত্তি করার জন্য মুজিবকে এলাছের বাড়িতে দাওয়াত দেন। পরে কামরুল ও এলাছ উভয়ে মুজিবকে সাথে করে বাড়ি নিয়ে যায়। পরের দিন ২৩ জুন কাইমা গ্রামের ভাটিপাড়া রোডের পাশে মুজিবের ক্ষত—বিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। মুজিবের বাবা আব্দুর রউফ এর দাফিলকৃত এজাহারের ভিত্তিতে দিরাই থানায় ৯ (৬) ০২ মামলা রুজু হয়। দীর্ঘ ২০ বছর পর এই মামলার রায় দেন আদালত।
অতিরিক্ত দায়রা জজের অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. সোহেল আহমদ ছইল মিয়া বলেন, ২০ বছর আগে বন্ধুদের দ্বারা খুন হন মুজিব। এই হত্যা মামলার রায় হয়েছে। এরকম রায়ে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি।
- নকল ঔষধ তৈরি ও বিপণন দমন করা হোক
- চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন