স্টাফ রিপোর্টার
ভারত ও বার্মা (মায়ানমার) থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় বেড়েছে আদার দাম। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে দিগুণ দরে বিক্রয় হচ্ছে আদা। সেই সাথে হঠাৎ করে বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। তিনদিন আগে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজির দাম ছিল ৮০-১০০ টাকা। এখন তা বিক্রয় হচ্ছে ১৬০-২০০ টাকা কেজি দরে। অর্থাৎ দিগুণ দরে বিক্রয় হচ্ছে কাঁচা মরিচ। একই অবস্থা আদারও। ১৫ দিন আগে প্রতি কেজি আদা বিক্রয় হয়েছে ১৪০-১৫০ টাকায়। আর এখন বিক্রয় হচ্ছে ২৪০-২৫০ টাকায়। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি আদার দাম ১০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাইরে থেকে আদা আমদানি কমে যাওয়ায় আদার দাম বেড়েছে। এদিকে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় উৎপাদিত কাঁচা মরিচ ঢাকায় চলে যাচ্ছে। এতে সুনামগঞ্জে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। তাছাড়া কয়দিন আগে, কালবৈশাখী ঝড় এবং প্রখর রোদে কাঁচা মরিচের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যে কারণে দামটা বেশি।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার লক্ষণশ্রী ইউনিয়নের হালুয়ারগাঁও থেকে বাজার করতে এসেছেন দিনমজুর শফিক মিয়া। সবজি বাজারে গিয়ে আলু, করলা ও কাঁচামরিচ কিনেছেন তিনি। জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবতার দামে আগুন লাগছে। দুই দিন যাইতে না যাইতেই দাম বাড়ে। তিনদিন আগে ১০০ গ্রাম কাঁচা মরিচ কিনছিলাম ১০ টাকায়। আজ ২০ টাকা নিছে। আলু ছিল ২৫ টাকা কেজি। আজ ৩৫ টাকা দিয়ে কিনছি।
শহরের ওয়েজখালি এলাকার রিকশা চালক জমির মিয়া বলেন, জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় বাঁচা দায় হয়ে গেছে। গতকাল সারা দিন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ৫০০ টাকা কামাই করছিলাম। আজ বাজারে গিয়া ৫ কেজি চাল, নাইল্লাশাক, পেঁয়াজ, আলু, কাঁচা মরিচ কিনে টাকা শেষ।
শহরের নতুন বাজারের মেসার্স জীবন আলী স্টোরের আলী আকবর বলেন, ভারত ও বার্মা থেকে আদা আমদানি হয়। আমদানি বন্ধ থাকায় দামটা বেড়েছে। আমরা ২১০ টাকা পাইকারি দরে আদা বিক্রয় করছি। কম লাভে বিক্রির চেষ্টা করছি।
জেল রোড এলাকার পাইকারি বিক্রেতা মেসার্স লোকনাথ বাণিজ্যলয়ের প্রসেনজিৎ দে বলেন, সুনামগঞ্জে মরিচ ক্ষেত প্রখর রোদে নষ্ট হয়েছে। ঝড় তুফানেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এইজন্য কাঁচা মরিচ শহরে কম আসে। সুনামগঞ্জে কাঁচা মরিচ বিক্রয় হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা কেজি। কিন্তু ঢাকায় বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৫০ টাকা কেজি দরে। ফলে বেশি দামে বিক্রির আশায় সুনামগঞ্জের অনেকেই কাঁচা মরিচ ঢাকায় পাঠিয়ে দিচ্ছেন। এতে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে।
জেলার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আল আমিন বলেন, কাঁচা মরিচের দাম এত বেশি হয়েছে কেন, আমরা খোঁজ নিয়ে দেখব। আড়ৎদাররা সিন্ডিকেট করে কাঁচা মরিচ বিক্রয় করে থাকলে, আইন প্রয়োগ করা হবে। তিনি বলেন, আদা ভারত থেকে আসে। দেশে আদা উৎপাদন কম। এইজন্য আদার দাম বেড়েছে। দেশের অন্যান্য জেলায় আদা যে দরে বিক্রি হচ্ছে, সুনামগঞ্জেও একই ভাবে বিক্রি করতে হবে।
- কোমল পানীয়তে কীটনাশক মেশানের অভিযোগ/ পান করে অসুস্থ এক শিশু
- ধানের গাড়িকে ১২শ’ টাকা জরিমানা