স্টাফ রিপোর্টার
মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে স্বাধীন হয়েছে বাংলাদেশ। স্বাধীনতার পরে সুপরিকল্পিত নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে যুদ্ধ বিদ্ধস্ত একটি দেশ। দেশে শিক্ষা-দিক্ষা, অবকাঠামো উন্নয়নের পথ যখন সুদুর হচ্ছে ঠিক তখন বাঙালির জীবনে নেমে কালো অধ্যায়। উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ৭৫ সালে হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধুকে, থমকে যায় দেশ। এরপর আবারও শক্তি পেল বাংলাদেশ। ফিরে এলেন দেশনেত্রী বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা। বাবার দেখানো স্বপ্নে সুদৃঢ় ভাবে হাটতে হাল ধরেছেন দেশের। পরপর তিনবার সরকার গঠন করে গড়ে তুলেছেন ডিজিটাল বাংলাদেশ। কথা দিয়েছেন বাংলার মানুষের জন্য প্রয়োজনে বাবার মতো জীবন দিয়ে যাবেন। সবার জানা বাঙালির ইতিহাসের এই দৃশ্যগুলো যেন বাস্তব রুপে দেখা গেছে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন আয়োজিত পথ নাট্য উৎসবে।
বুধবার সন্ধ্যার পরে সুনামগঞ্জ পৌর মঞ্চে নাট্য উৎসবে এই দৃশ্যগুলো ফুটিয়ে তুলেছে থিয়েটার সুনামগঞ্জের নেতৃত্বে কয়েকটি সংগঠনের সমন্বয়ে নির্মিত পরিবেশনা ‘পুনুরুথান’। নাটকে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী বদলে যাওয়া বাংলাদেশ নির্মাণের কথা তুলে ধরা হয়। বিশ মিনিটের এই নাটকে পুরো ৫৯ বছরের ইতিহাস মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করেন দর্শকরা।
এছাড়াও আমজদ হোসেনের প্রযোজনায় বন্ধন থিয়েটার মঞ্চস্থ করে নাটক ‘ধাপ্পাবাজ’।
থিয়েটার সুনামগঞ্জের সভাপতি দেওয়ান গিয়াস চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও বন্ধন থিয়েটারের সভাপতি সামির পল্লবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র নাদের বখত। বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রয়েসর রজত কান্তি সোম, বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা আহমেদ মঞ্জুরুল হক চৌধুরী পাভেল, প্রবীণ নাট্যব্যক্তিত্ব রনেন্দ্র তালুকদার, সৃজন বিদ্যাপীঠের উপাধ্যক্ষ কানিজ সুলতানা, বিশিষ্ট গীতিকার প্রিন্স রুবেল, থিয়েটার একুশের সভাপতি পল্লব ভট্টাচার্য, কালচারাল ফোরামের সভাপতি সোহেল রানা, বন্ধন থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক অমিত বর্মন সহ অন্যান্য সংস্কৃতিকর্মীরা।
বক্তারা বলেন, নাটক মানুষের জীবনের একটা অংশ। সাংস্কৃতিক কর্মকা- এবং এরকম নাটক বাঙালির জাতিসত্ত্বার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ধারাগুলো আমার অন্তকরনকে বিকশিত করে।
- ধর্মপাশায় পারি’র উদ্যোগে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা
- অগ্নিঝরা মার্চের শুরু আজ