স্টাফ রিপোর্টার
সুনামগঞ্জে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় বসতঘর হারানোদের ঘর মেরামতের জন্য অনুদান প্রদান শুরু হচ্ছে আজ সোমবার থেকে। প্রথম পর্যায়ে ৫ হাজার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হবে।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, জেলার ১২টি উপজেলা ও ৪টি পৌরসভায় ক্ষতিগ্রস্ত বসতঘরের সংখ্যা ৪৫ হাজার ২৮৮টি। এর মধ্যে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে ৪ হাজার ৭৪৭টি। আংশিক ক্ষতি হয়েছে ৪০ হাজার ৫৪১টি। তবে সম্পূর্ণ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি, বিস্তারিত ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণের কাজ চলছে। প্রথম পর্যায়ে বসতঘর হারানোদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে ৫ কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে রবিবার জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে যে তালিকা করা হয়েছে সে অনুযায়ী, এবারের ভয়াবহ বন্যায় সুনামগঞ্জ জেলায় ৪৫ হাজার ২৮৮টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে আমরা ৫ কোটি টাকা পেয়েছি। সেই ৫ কোটি টাকা আজ সোমবার থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে বিতরণ শুরু হবে। আমরা ৫ হাজার পরিবারের মাঝে ৫ কোটি টাকা বিতরণ করবো। প্রত্যোক পরিবার ১০ হাজার টাকা করে পাবে। এই টাকাটি প্রত্যেকটি ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির সামনে গিয়ে দেয়া হবে। সরকারি কর্মকর্তা থাকবে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থাকবে- সকলের উপস্থিতিতে এই টাকা বিতরণ করা হবে।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে আমরা আরও বরাদ্দ পাবো এবং সেই বরাদ্দ পর্যায়ক্রমে ক্ষতিগ্রস্ত সকলের কাছে আমরা পৌঁছে দেবো। মানুষ যেনো আবার তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে, তারা যেনো ঘুরে দাঁড়াতে পারে সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার কল্যাণ তহবিল থেকে এই অনুদানটি সুনামগঞ্জের বন্যা কবলিত মানুষের জন্য দিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন আরও বলেন, ইতোপূর্বেও মানীয় প্রধানমন্ত্রী ৫৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য দিয়েছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আরও ৫০ হাজার ১৫২ প্যাকেট ডানো গুঁড়ো দুধ বরাদ্দ করেছেন। এই দুধ শিশু এবং বয়স্কদের মাঝে বিতরণের কার্যক্রম চলমান আছে। এছাড়াও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ১ হাজার ৩৫৬ মে. টন জি.আর চাল, নগদ ১ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা, ১১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, শুকনো খাবার (১৪.৫ কেজির বস্তা) ২৮ হাজার প্যাকেট, শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ১০ লক্ষ টাকা এবং গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ ১০ লক্ষ টাকা সকল উপজেলা ও পৌরসভায় বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও বিআইডব্লিউটিএ থেকে সাড়ে ৭ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার এবং উপজেলা পর্যায় থেকেও শুকনো খাবার ক্রয় করে মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এখন আমরা সবচেয়ে জোর দিচ্ছি মানুষের পুনর্বাসনের বিষয়ে।
- ১৭ দিনেও কোন সহায়তা জুটেনি সুরমা বেগমের
- শান্তিগঞ্জে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন