শান্তিগঞ্জ অফিস
সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলায় হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ গাফিলতি করায় ৪ পিআইসি (প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি) সভাপতিকে আটক করা হয়েছে। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা করেন তাদের। এসময় এক পিআইসি সভাপতি যথানিয়মে বাঁধের কাজ সম্পন্ন করার অঙ্গীকার করায় তাকে মুচলেকার ছেড়ে দেয়া হয়।
জানা যায়, সোমবার বাঁধের কাজ গাফিলতির অভিযোগে শান্তিগঞ্জের পূর্ব বীরগাঁও, পশ্চিম বীরগাঁও ও পাথারিয়া ইউনিয়নে খাই হাওরের পিআইসির ৪ সভাপতিকে আটক করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। দিনব্যাপি শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কাবিটা কমিটির সভাপতি মো. আনোয়ার উজ জামানের নেতৃত্বে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারি প্রকৌশলী, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা উপজেলার খাই হাওরের প্রায় ২৩টি ফসল রক্ষা বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় ফসল বাঁধের কাজ যথানিয়মে সম্পন্ন না করায় এবং ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে গাফিলতির অভিযোগে ফসল রক্ষা বাঁধের ৪৭ নম্বর পিআইসির সভাপতি অলেক মিয়া, ৬৩ নম্বর পিআইসির সভাপতি ছয়ফুল ইসলাম, ৬৫ নম্বর পিআইসির সভাপতি মাসুম আহমদ ও ৬৬ নম্বর পিআইসির সভাপতি কুহিনুর রহমান মিছবাহ কে আটক করা হয়। এরপর ভ্রাম্যামাণ আদালতের ১৮৮ ধারায় প্রত্যেক পিআইসিকে ১ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। এসময় ৪৭ নং পিআইসির সভাপতি অলেক মিয়াকে যথানিয়মে বাঁধের কাজ সম্পন্ন করার অঙ্গীকার করায় তাকে মুচলেকার মাধ্যমে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
বাঁধ পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আনোয়ার উজ জামান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খন্দকার সুহাইল আহমদ, উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারি প্রকৌশলী মাহবুব আলম, পূর্ব বীরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মো. রিয়াজুল ইসলাম, শান্তিগঞ্জ থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক সুব্রত কুমার দাস, ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান প্রমুখ।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কাবিটা কমিটির সভাপতি মো. আনোয়ার উজ জামান বলেন, বাঁধের কাজের গতি খুবই কম। কিছু কিছু বাঁধ যথানিয়মে হচ্ছে না। তাই তাদেরকে আটক করে প্রথমবারের মতো মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা আদায় করেছি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যথানিয়মে বাঁধের কাজ শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছি। বাঁধের কাজ যথানিয়মে সম্পন্ন না করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
- মাঠের খেলা গড়ালো আদালতে
- হুমকির মুখে মাটিয়ান হাওর/ হাওরের ফসল রক্ষায় বালির বাঁধ