স্টাফ রিপোর্টার
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, দেশে উন্নয়নের মহাযজ্ঞ চলছে, বিএনপি প্রাণে বাঁচে না অন্তরে জ্বালায়। পদ্মা সেতুর জ্বালা, মেট্রোরেলের জ্বালা, ফ্লাইওভারের জ্বালা, বঙ্গবন্ধু টানেলের জ্বালা, একদিনে একশ সেতু উদ্বোধনের জ্বালা, একদিনে একশ রাস্তা উদ্বোধনের জ্বালা। সামনে রয়েছে রূপপুর, মাতারবাড়ি, মুজিব টানেল- জ্বালারে জ্বালা। শুধু উন্নয়ন। । এখন তারা স্বপ্ন দেখছে গণঅভ্যুত্থানের। তিনি বলেন, বিএনপির মরা গাঙে জোয়ার আসবে না।
সুনামগঞ্জ আ.লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলী লীগের সভাপতি মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমনের সঞ্চালনায় সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন আর ফকরুল নয়, চট্টগ্রামের আমির খসরু মাহমুদের কাছে লন্ডন থেকে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির সকল গোঁপন ম্যাসেজ আসে।
তিনি বলেন, আমরা রাজপথে আছি। আমির খসরু মাহমুদরা তলে তলে কি করছেন সবই আমাদের জানা আছে। জঙ্গীবাদের আলামত আমরা পাচ্ছি। তিনি বলেন, যে হাতে জনগণের যান-মালে আগুন দেবেন, সেই হাত আমরা পুড়িয়ে দেবো। যে হাতে ভাংচুর করবেন সেই হাত আমরা ভেঙে দেবো। সন্ত্রাসের কালো হাত আমরা গুড়িয়ে দেবোই। একজন পালিয়েছে বাকিরাও পালাবে। আওয়ামী লীগ পালায় না। বিএনপি বলে আমাদের মাটির তলায় মাটি নেই। নির্বাচনে আসেন প্রমাণ হবে, কার পায়ের তলায় মাটি আছে। তিনি বলেন, ৭৫’এর ১৫ আগস্ট একটি পরিবারকে শেষ করে দিয়েছে। আল্লার অশেষ কৃপায় বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বেঁচে গেছেন। জাতির পিতা আমাদের রাজনৈতিক স্বাধীনতা দিয়েছেন, আর দেশরতœ শেখ হাসিনা দেশকে রূপান্তর করেছেন।
তিনি নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে হবে। তিনি সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে নুরুল হুদা মুকুট, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নোমান বখত পলিনের নাম ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, আমরা ডাকি সমাবেশ, হয়ে যায় মহাসমাবেশ। বিএনপি ডাকে মহাসমাবেশ, হয়ে যায় কোন রকমে সমাবেশ। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মুছলেখা দিয়ে পালিয়ে গেছেন। লুকিয়ে আছেন লন্ডনে। ঢাল নাই তলোয়ার নাই নিধিরাম সর্দারদের নিয়ে জোট করেন। তিনি বলেন, তারা দুঃস্বপ্ন দেখেছিল, ১০ ডিসেম্বর গণ-অভ্যুত্থান হবে। শেখ হাসিনা তাঁর মন্ত্রীদের নিয়ে পালিয়ে যাবে। খালেদা জিয়া বিজয় শোভাযাত্রা করবে। ১১ ডিসেম্বর না কি তারেক রহমান দেশে আসার কথা ছিল। তাদের এমন স্বপ্ন কোন দিন বাস্তবায়ন হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ডিসেম্বর মাসেই সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে আত্মসমর্পণ করেছিল, এজন্য তারা ওখানে ডিসেম্বরে সমাবেশ করলো না। তিনি বলেন. গোঁপন ষড়যন্ত্র নয়, রাজপথে আসুন খেলা হবে। খেলা হবে- সামনা সামনি। তিনি বলেন, বিএনপির গণ-অভ্যুত্বত্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছে। ওখান থেকে কুড়িয়ে কুড়িয়ে এখন পদযাত্রা করছে।
তিনি বলেন, আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন করে যারা দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে, তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা, ভূতের মুখে রাম নামের মত শুনায়। কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বিএনপি এখন গণতন্ত্রের কথা বলে।
এর আগে সম্মেলন উপলক্ষে শনিবার সকাল থেকে সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দলে দলে আসতে থাকেন দলীয় নেতাকর্মীরা। জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীদের পদচারণে শহরব্যাপি উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
সম্মেলনের শুরুতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় সদস্য ড. মুশফিক হোসেন চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সদস্য আজিজুস সামাদ ডন, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুহিবুর রহমান মানিক এমপি, ড. জয়া সেন গুপ্তা এমপি, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপি ও শামীমা আক্তার খানম এমপি।
- বিএনপি জামায়াতকে বিশ্বাস করা যায় না-জাহাঙ্গীর কবির নানক
- সাকিবদের বিদায় করে টিকে থাকল রংপুর