বিএনপি জামায়াতকে বিশ্বাস করা যায় না-জাহাঙ্গীর কবির নানক

স্টাফ রিপোর্টার
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জিয়াউর রহমান। লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীকে কারাগারে নিক্ষেপ করে। মনে করেছিল আওয়ামী লীগকে নির্মূল করা যাবে। কারাগারের অভ্যন্তরে চার জাতীয় নেতাকে হত্যা করেছে সামরিক জান্তা জিয়াউর রহমান। সেই সময় যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেছে জিয়াউর রহমান। শেখ হাসিনা যাতে বাংলাদেশে আর না আসতে পারেন, সেজন্য ষড়যন্ত্র করেছে। কিন্তু জাতির পিতার কন্যা শত বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে দেশে ফিরে এসেছিলেন। বলেছিলেন, আমি একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই, আমার বাবার হত্যার বিচার চাই, আমি গণতন্ত্রকে জনগণের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে চাই। বারবার মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে অকতোভয় সেনাপতি আমাদের বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা লড়াই করে গেছেন। সর্বশেষ ২০০১ সালে যখন বিএনপি জামায়াত ক্ষমতা দখল করে আপনাদের উপর আমাদের উপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছে। এই দেশকে পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা করেছিল। দেশ থেকে বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস মুছে ফেলতে চেয়েছিল। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে নিষিদ্ধ করেছিল বিএনপি। অগ্নি সন্ত্রাসীর দল বিএনপি এখন গণতন্ত্রের কথা বলে। আজ আবার ইউনিয়নে ইউনিয়নে মিছিল দিয়েছিল। কিন্তু কোন ইউনিয়নে মিছিল নেই। সাপকে বিশ্বাস করা যায়, কিন্তু বিএনপি জামায়াতকে বিশ্বাস করা যায় না।
শনিবার দুপুরে সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সুনামগঞ্জ আ.লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন সম্মেলনে কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল বিএনপি শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে। আমাদের নেত্রী আইভি রহমান সহ ১৪ জন জীবন দিয়েছিলেন। হাজার খানেক নেতাকর্মী এখনও গ্রেনেডের স্প্রিন্টারে মৃত্যুর প্রহর গোনে। সেই বিএনপি এখন গণতন্ত্রের কথা বলে।
সরকার জনগণের পাশে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার শুধু পদ্মাসেতু, মেট্রে রেল চালু করেনি অসহায় মানুষকে ঘরও দিয়েছে। আমি শুনে খুশি হয়েছি, নেত্রী সুনামগঞ্জ থেকে নেত্রকোনা পর্যন্ত উড়াল সড়ক করার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি উপস্থিত নেতা কর্মীদের ভাই বন্ধুগণ সম্মোধন করে বলেন, গত বন্যার কথা মনে আছে, আমরা ঘরে বসে ছিলাম না। সুনামগঞ্জ যখন বন্যার পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে, তখন করোনাকে পেছনে ফেলে প্রধানমন্ত্রী এসেছিলেন আপনাদের কাছে. আপনাদের সেবায়। খাবার পৌঁছে দেয়া হয়েছে, চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আর করোনার সময় বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধ ভাবে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। সরকারের উন্নয়ন কর্মকা-গুলো আপনারা সকলে সাধারণ মানুষকে জানান, প্রচার করেন। ৭ বছর পর এই সম্মেলন সুনামগঞ্জের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেই নির্বাচনে এখানকার ৫টি আসন আপনারা শেখ হাসিনাকে উপহার দেবেন।