বিনামূল্যে ল্যাপটপ বিতরণ/ পরিবহন খরচ শিক্ষকদের কাঁধে

ধর্মপাশা প্রতিনিধি
ধর্মপাশা ও মধ্যনগরে ১৮৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে বিনামূল্যে ১টি করে ল্যাপটপ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এসব ল্যাপটপ বিনামূল্যে বিতরণের কথা থাকলেও পরিবহন খরচের কথা বলে প্রতি ল্যাপটপ বাবদ ধর্মপাশা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানবেন্দ্র দাসের নির্দেশে ১০০ টাকা করে রাখা হচ্ছে। গত মঙ্গলবার ধর্মপাশা উপজেলার ১০১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কাছে ১টি করে ল্যাপটপ হস্তান্তর করা হয়। এ সময় প্রতি ল্যাপটপের বিপরীতে ১০০ টাকা করে রাখা হয়। কিন্তু এ কথা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অপকটে স্বীকার করলেও ল্যাপটপপ্রাপ্ত শিক্ষকদের অনেকেই তা অস্বীকার করেছেন। যে সকল শিক্ষকেরা বিষয়টি স্বীকার করেছেন তারাও শিক্ষা কার্যালয়ের বিরাগভাজন হওয়ার ভয়ে তাদের নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ এবং ডিজিটাল পাঠদানের লক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে ল্যাপটপ বিতরণ করা হচ্ছে। যার ধারাবাহিকতায় এখানকার দুই উপজেলার ১৯৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ধর্মপাশায় ১০১টি ও মধ্যনগরের ৮৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ১৮৫টি ল্যাপটপ বরাদ্দ দেওয়া হয়। আগামী ১৪ মার্চ মধ্যনগরে আনুষ্ঠানিকভাবে ল্যাপটপগুলো বিতরণ করা হবে। গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ধর্মপাশা উপজেলা গণমিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে ল্যাপটপ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে কয়েকটি ল্যাপটপ বিতরণের পরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় থেকে ধর্মপাশার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ল্যাপটপগুলো বিতরণ করা হয়। এ সময় প্রতি ল্যাপটপের পরিবহণ খরচ বাবদ ১০০ টাকা করে আদায় করা হয়। জানা গেছে, মধ্যনগরের ল্যাপটপগুলো বিতরণের সময়েও ১০০ টাকা করে রাখা হবে।
ধর্মপাশা উপজেলা শিক্ষা কার্যালয়ের অফিস সহকারী মিঠুন পাল বলেন, ‘পরিবহণ খরচ পাওয়া যায়না বিধায় শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে ১০০ টাকা করে রাখা হয়েছে।’
ধর্মপাশা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানবেন্দ্র দাস বলেন, ‘ল্যাপটপগুলো সুনামগঞ্জ থেকে সংগ্রহ করতে গিয়ে আমাদের ১৭ হাজার টাকার মতো পরিবহণ খরচ হয়েছে। মধ্যনগরে ল্যাপটপগুলো পৌঁছাতেও খরচ লাগবে। এ জন্য সরকারিভাবে কোনো পরিবহন খরচ দেওয়া হয় না। তাই ১০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। সবাই যে টাকা দেয় তা নয়; কিছু মিসিংও হয়।’
পরিবহন খরচ সরকারিভাবে দেওয়া হয় জানিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম আব্দুর রহমান বলেন, ‘এখনও পরিবহন খরচ পাওয়া যায়নি। পরে হয়তো দেওয়া হবে। তাৎক্ষণিক খরচ মেটানোর জন্য হয়তো এখন শিক্ষকদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে। পরিবহন খরচ (বরাদ্দ) পাওয়া গেলে শিক্ষকদের টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে।’