বেড়েই চলেছে পেঁয়াজের দাম

স্টাফ রিপোর্টার
দুই সপ্তাহ ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে ৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই সপ্তাহ আগে কেজির পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫ টাকায়, আর এখন বিক্রি হচ্ছে ৭৫—৮০ টাকায়। পাইকারী ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশি পেঁয়াজে চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। এলসি বন্ধ থাকার কারণে বাজার ক্রমেই অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। পেঁয়াজ আমদানি না করা পর্যন্ত দাম কমার সম্ভাবনা নেই বলে জানান তারা।
শনিবার পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকা কেজি দরে। আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়। ক্রেতারা বলছেন, পেঁয়াজের দাম যেভাবে বৃদ্ধিতে আমরা হতাশায় আছি। দাম বাড়ার পেছনে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখার অনুরোধ করছেন ক্রেতারা।
পৌর শহরের নতুন বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী মখলিছুর রহমান বলেন, অনেকদিন ধরে আমদানি নেই। চাহিদাও বেশি, তাই দাম বাড়ছে। আজ মহাজনেরা জানিয়েছেন দাম কমবে। পেঁয়াজ মজুদ থাকলে যেনো দ্রুত বিক্রি করি। আমরা আজকে ৬৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।
একই বাজারে পাইকারি বিক্রেতা আকবর হোসেন বলেন, ৭০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছি। তবে মহাজনেরা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন শীঘ্রই দাম কমবে।
মল্লিকপুর এলাকার বাসিন্দা বেগম বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় কম কম করে কিনেরাম (ক্রয় করছি)। কষ্ট করে খাইরাম (খাচ্ছি)। আজকুও আধা কেজি ৩৫ টাকায় লইরাম (কিনেছি)। দাম না কমলে খাইতাম কিলা, চলতাম কিলা এই চিন্তায় আছি।
দিনমজুর শফিক মিয়া বলেন, দাম বাড়ায় অল্প করে কিনি। দাম কমলে বেশি পরিমাণে কিনবো।
ওয়েজখালি বাজার এলাকার খুচরা পেঁয়াজ, রসুন বিক্রেতা আমিন মিয়া বলেন, দুই সপ্তাহ আগে পাইকারি পেঁয়াজ কিনেছি ৪০—৪২ টাকা কেজি দরে। তখন বিক্রি করেছি ৪৫ টাকা কেজি। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারিতে দাম বেড়ে হয়েছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। এখন বিক্রি করছি ৭৫—৮০ টাকা কেজি দরে।
জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আল আমিন বলেন, খুব শীঘ্রই পেঁয়াজ আমদানি হবে। তখন দামটা কমবে। সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজ বিক্রি করলে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেব। আমাদের বাজার মনিটরিং অব্যাহত আছে।