ধর্মপাশা প্রতিনিধি
২০২১ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে ধর্মপাশা উপজেলা সদর বাজারের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত শয়তানখালী সেতুটি দেবে যাওয়া শুরু করে। তখন প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুইপাশে বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়। কিন্তু বেড়া ডিঙিয়ে পথচারীদের চলাচল অব্যাহত থাকলেও পশ্চিম বাজারের সাথে পূর্ব বাজারের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যদিও পশ্চিম বাজার থেকে পূর্ব বাজারের দূরত্ব কয়েশ মিটার। কিন্তু সেতু বন্ধ থাকায় এক বাজার থেকে অন্য বাজারে যেতে কলেজ রোড হয়ে প্রায় এক কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে হয়। গেল বছরের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সেতুটি আরও দেবে গিয়ে সম্পূর্ণ ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। আবারও প্রশাসন যান ও পথচারী চলাচল বন্ধ করে দিয়ে ওই খালের মাছ বাজার সংলগ্ন স্থানে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে দেয়। কিন্তু সেই সাঁকুতে উঠতে নামতেও পা পিছলে আহত হচ্ছেন অনেকেই। ফলে পশ্চিম বাজারে দিন দিন ক্রেতার সংখ্যা কমে যাওয়ায় ব্যবসা বাণিজ্যে ধস নেমেছে। সেতুটি ভেঙে পুনর্নির্মাণ না করায় এই ভাঙা সেতু এখন ব্যবসায়ীদের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে।
এ থেকে পরিত্রাণের জন্য সেতুটি দ্রুত সেতুটি পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়ে বুধবার দুপুর ১২টায় পশ্চিম বাজারের সর্বস্তরের ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মধ্যবাজারে আয়োজিত এ মানববন্ধনে দেড় শতাধিক ব্যবসায়ী অংশগ্রহণ করে। এতে বক্তব্য দেন, ব্যবসায়ী মোজাম্মেল হক, বাবুল মিয়া, আজিজুল হক, নূরনবী হাসান, লিটন চন্দ্র ভৌমিক, আবুল হাসেম, আমিরুল ইসলাম, আলীনূর, বদরুজ্জামান, জামির হোসেন প্রমুখ।
ধর্মপাশা বাজারের ডেকোটের ব্যবসায়ী মোজাম্মেল হক বলেন, ‘সেতুটি বন্ধ থাকার কারণে পণ্য পরিবহণ মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। দীর্ঘ সময় সেতুটি বন্ধ থাকায় আমাদের ব্যবসা বাণিজ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে।’
অসুধ ব্যবসায়ী লিটন চন্দ্র ভৌমিক বলেন, ‘স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার জনগণের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এই সেতুটি অতিদ্রুত পুনর্নির্মাণ করা হলে পশ্চিম বাজারের ব্যবসা আবারও চাঙ্গা হবে।’
ফার্নিচার ব্যবসায়ী নূরনবী হাসান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ধর্মপাশার ব্যবসায়ীরা অনেক কষ্টে আছে। বাজারে ক্রেতার সংখ্যা কমে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতির মূখে পড়েছেন।’
শয়তানখালী সেতুটি অর্ধশত বছরের বেশি সময় আগে এলজিইডির অধীনে নির্মিত হয়েছিল। এরপর কোনো সংস্কার বা পুননির্মাণ না হওয়ায় সেতুটি দেবে গিয়ে এমন দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘গত ২৯ জানুয়ারি এ সেতুর টেন্ডার হওয়ার কথা ছিল। টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে টেন্ডার ওপেন করা হয়নি। কবে নাগাদ টেন্ডার হবে তা আগামী সপ্তাহে বলা যাবে।’
- হাওরে নেই সাইনবোর্ড, নেই পাউবোর লোকজন
- একে অপরকে বিষোদগার করে বক্তব্য দিচ্ছেন পদ প্রত্যাশীরা