ভালো মানুষের পরিচিতি ও দলীয় ঐক্যের ফল

জগন্নাথপুর অফিস
জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বড় জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল ইসলাম। নৌকা প্রতীকে তিনি ১০ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে বড় জয় পান। তাঁর এ চমকপ্রদ জয়ের পেছনে রয়েছে ভালো মানুষ হিসেবে তাঁর পরিচিতি ও দলের ঐক্য।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, গত ২ নভেম্বর জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আকমল হোসেন নৌকা প্রতীকে ২৩ হাজার ৩২৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় ছিলেন জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী তালহা আলম তিনি পান ১১ হাজার ২০৩ ভোট।
২৬ ডিসেম্বর আকমল হোসেন মৃত্যুবরণ করলে ৫ মাসের ব্যবধানে আবারও উপ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ১২ জন প্রার্থী দলের মনোনয়ন সংগ্রহ করেন। কিন্তু দলের মনোনয়ন বোর্ড জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক পরিকল্পনামন্ত্রীর অনুসারী নুরুল ইসলাম কে মনোনয়ন দেন। নুরুল ইসলাম একজন সজ্জন রাজনীতিবীদ ও ভালো মানুষ হিসেবে সর্বমহলে পরিচিত। তাঁর মনোনয়ন কে চমক হিসেবে দেখেন নেতাকর্মী ও ভোটাররা। এরপরও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আজিজুস সামাদ অনুসারী হারুণ রাশীদ বিদ্রোহী প্রার্থী হন। এছাড়াও প্রার্থী হন গত নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী তালহা আলম, জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল কাইয়ুম কামালী, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী আতাউর রহমান (লাঙ্গল)। প্রচারণার শুরুতে কালো টাকা ছড়িয়ে প্রবাসী প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে আলোড়ন তোলার চেষ্টা করলেও ভালো মানুষ হিসেবে নুরুল ইসলাম প্রচারণায় বাড়তি সুবিধা পান। ফলাফলে নুরুল ইসলাম ২২ হাজার ২১২ আর প্রতিদ্বন্দ্বী তালহা আলম ১১ হাজার ২০৩ ভোট পান।
জগন্নাথপুর উপজেলা বিএনপির এক জ্যেষ্ঠ নেতা হবিবপুর গ্রামের বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, বিএনপি দলীয়ভাবে নির্বাচনে যায়নি। তবে একজন ভালো মানুষ আমরা নুরুল ইসলাম কে দলমতের উর্ধ্বে উঠে ভোট দিয়েছি। যার প্রমাণ হবিবপুর গ্রামের বিএনপি আধিক্যের দুটি ভোট কেন্দ্রে নৌকার বিজয়।
জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তাদীর আহমেদ বলেন, সব মহলে গ্রহণযোগ্যতা ও দলীয় ঐক্যের কারণে কালো টাকার বিরুদ্ধে বড় জয় পেয়েছেন তিনি। তাঁর পক্ষে প্রচারণায় যেখানে গিয়েছি সবাই বলেছেন তিনি ভালো মানুষ।
তিনি জানান, জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরে দুই ধারায় বিভক্ত। আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আজিজুস সামাদ নৌকার পক্ষে এসে মাঠে কাজ করায় দলের বিভক্তি দূর হয়ে যায়।
জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু বলেন, পরিকল্পনা মন্ত্রীর উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিতে জনগণ একজন ভালা মানুষ হিসেবে বিপুল ভোটে তাকে নির্বাচিত করেছে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সার্বিক তত্বাবধানে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্য বিজয়ের পথ কে সুদৃঢ় করেছে।