মোশফিকুর রহমান
এক কানি (এক কেয়ার) মরিচ ক্ষেত করছি। ভালো ফলন অইছে, দামও ভালো। তিন লাখ টাকার কাঁচা মরিচ বিক্রি করছি। আজকেও ১০/১২ মন মরিচ তুলেছি। আশা করছি আজকেও ৫০ হাজার টাকার মরিচ বিক্রি অইব। আমার মরিচ ক্ষেতে ১২/১৩ জন নারী পুরুষ মরিচ তুলে। আট টাকা কেজি দরে তারা মরিচ তুলে। দৈনিক ৩২০/৩৫০ টাকা পায়, তারাও খুশি।
বলছিলেন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের ভাতেরটেক গ্রামের কৃষক ওসমান গনি। মরিচের বাম্পার ফলনে তিনি খুবই খুশি। ওসমান গনি আরও বলেন, কাঁচা মরিচের পাশাপাশি, ধান ও চিনা বাদামেরও বাম্পার ফলন হয়েছে।
শুধু ওসমানগনি নয়। ভাতেরটেক গ্রামের কৃষক তারিসলাম, আরিফ মিয়া, নয়ন মিয়া মরিচ চাষ করে লাভবান হয়েছেন। তারা বলেন, গত বছর মরিচ ক্ষেত করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলাম। আগাম বন্যায় সবকিছু তলিয়ে গেছিল। মরিচের পাশাপাশি, ধান, চিনা বাদামেও বাম্পার ফলন পেয়েছেন সকলেই।
জানা যায়, জেলার ১২ উপজেলায় ধানের পাশাপাশি কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। এবার সবচেয়ে বেশি ফলন হয়েছে তাহিরপুর উপজেলায়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, এবার জেলার ১২টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ১৭০৮ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে চাষাবাদ ১৭২৬ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১৮ হেক্টর জমিতে বেশি মরিচ চাষ করেছেন কৃষকেরা।
তিনি বলেন, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কৃষকেরা মরিচ চাষে নেমে পড়েন। বন্যায় পলিমাটির উর্বরতা থাকায় কম খরচে মরিচ চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ফলন হয়েছে তাহিরপুর উপজেলায়। শুধু তাহিরপুর উপজেলায় প্রায় ১৪শ’ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই বছর জেলায় ৩ হাজার ২০০ মেট্রিক টন মরিচের ফলন হয়েছে। এর বাজারমূল্য ৩২ কোটি টাকা। গত বছরের চেয়ে ৪৫০ হেক্টর জমি বেশি আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার মরিচ চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। সেই সঙ্গে বাজার ভালো থাকায় কৃষকের মুখেও ফুটেছে হাসি।
- স্যালিসবারি সিটি কাউন্সিলে প্রথম বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত মেয়র জগন্নাথপুরের আতিকুল
- শুক্কুর আলীর হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ