জগন্নাথপুর অফিস
প্রবাসী অধ্যুষিত জগন্নাথপুরে কমেছে মামলার ঘটনা। দীর্ঘদিনের অনেক মামলা-অভিযোগ আপষে নিষ্পতি হচ্ছে। ফলে অনেকেটা স্বস্তি বিরাজ করছে এলাকায়। এছাড়া থানাকে দালালমুক্ত রাখতে এবং অপরাধ কর্মকা- রোধে এলাকাবাসিকে সচেতন করতে মসজিদ-মন্দিরে প্রচারণা চালিয়ে প্রশসিংত হয়ে উঠেছে থানার ওসি। অপরাধ রোধে বিভিন্ন হাটবাজারে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের প্রচেষ্ঠা চলছে।
জানা গেছে, ২০২২ সালের ১১ জানুয়ারি জগন্নাথপুর থানায় যোগদান করেন ওসি মিজানুর রহমান। একটি পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্ত জগন্নাথপুর থানায় যোগদানের পর থেকেই কমে গেছে দালালদের দৌরাত্ম্য। প্রতি শুক্রবারে বিভিন্ন মসজিদে- মন্দিরে গিয়ে নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময়ের মাধ্যমে গড়ে তুলছেন পুলিশ-জনতার এক সেতুবন্ধন। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি নিয়মিত পুলিশ কমিউনিটি ক্যাম্পিং চলছে। সেবা প্রার্থীরা দালাল ছাড়াই নির্দ্বিধায় থানায় আসা-যাওয়া করতে পারছেন। জিডি করতেও এখন আর টাকা লাগছে না। নারী-পুরুষ সবাই অনুমতি ছাড়াই প্রবেশ করছেন ওসির কক্ষে। যোগদানের কিছুদিনের মধ্যে উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্র জগন্নাথপুর বাজারে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
থানার তথ্যমতে, ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর গড়ে ২০০টি মামলা হয়। যা ২০২২ সালে কমে দাঁড়ায় একশতে। অর্থাৎ এক বছরে ১০০ টি মামলা কমে যায়। এর মধ্যে মারামারির মামলার সংখ্যা ছিল বেশি।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বড় ধরনের অপরাধ বিশেষ করে খুন, অপহরণ, চুরির মতো অপরাধ কমেছে। বিগত তিন বছরের তুলনায় এসব অপরাধ কমেছে ৫০ শতাংশ।
অন্যদিকে, ওসি মিজানের মধ্যস্থতায় জায়গা-জমি, পারিবারিক বিরোধ, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় দীর্ঘ দিনের মামলাসহ ১২০টি অভিযাগ সামাজিকভাবে উভয় পক্ষকে নিয়ে আপোষে নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
এরমধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য উপজেলার জামালপুরের ৯টি, ইসহাকপুরের ৭টি, নাদামপুরের ৫টি, মোহাম্মদপুরের ৪টি, চিলাউড়া-হলিদপুরের ৩টি, শ্রীধরপাশার ৩টি এবং তিলক গ্রামের ২টি মামলা আপোষে প্রত্যাহার করা হয়। যা এ উপজেলায় অন্যন্যা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
এছাড়াও গেল বছর মাদক উদ্ধারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বিশেষ অভিযানে মাদক দ্রব্য উদ্ধার সংক্রান্ত ১৮টি মামলা করে পুলিশ। তাছাড়া হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ জড়িতদের গ্রেপ্তারে চলতি মাসে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা নাগরিক ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক রুমানুল হক রুমেন বলেন, অন্য সময়ের তুলনায় জগন্নাথপুরে অনেকটা অপরাধমূলক কর্মকা- কমেছে। সেই সাথে কমেছে মামলার ঘটনাও। এলাকাবাসিকে সচেতন করে মসজিদ-মন্দিরে প্রচারণা এলাকায় প্রশংসিত হচ্ছে। সেবার মানও বেড়েছে।
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, পুলিশ জনগণের বন্ধু। জনসাধারণের সেবা নিশ্চিত করে আমরা কাজ করছি।
তিনি আরও জানান, সেবা গ্রহীতাদের সকল ধরনের সহযোগিতার জন্য থানার সকল অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যতদিন এ দায়িত্বে আছি জনতার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাব। কোনো অপশক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। যারা অপরাধ করবে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। নিরপরাধ কাউকে হয়রানি কিংবা গ্রেপ্তার করা হবে না।
- গোবরের চটা বিক্রি করে জীবিকা
- পাঠদান চলে গাছতলায়/ বরাদ্দ থাকলেও পাঠদানের অস্থায়ী শেড করে নি ঠিকাদার!