আমিনুল ইসলাম, তাহিরপুর
মাছ দেখতে তাহিরপুরে শিব বাড়ি নদীর তীরে হাজারো উৎসুক জনতার ভিড় করেছেন। কেউ আসছেন মাছ দেখতে আবার অনেকে আসছেন মাছের খাবার নিয়ে। শিব বাড়ি মন্দির ও শিববাড়ি বিলের কুইড়া (জলাশয়ের মধ্যে কিছুটা গভীর স্থান) নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে হাওরাঞ্চলে নানা রূপকথা ছড়িয়ে আছে। এজন্য নদীতে মাছ ভেসে বেড়ালেও ভয়ে কেউ মাছ মারতে আসছেন না। উৎসুক দর্শনার্থীরা ভেসে বেড়ানো মাছ (গজার) গুলোর উপর ঢিল পর্যন্তও ছুড়ছেন না ভয়ে, যদি মাছের ক্ষতি হয়ে যায়।
শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ সচিব গুলেনুর মিয়া বলেন, খবর পেয়ে আমি মাছ দেখতে শিববাড়ি কুইড়াতে গিয়েছিলাম। অনেকগুলো গজার মাছ ভেসে বেড়াতে দেখেছি। এর মধ্যে কিছু লাল রঙের গজার মাছও আছে।
তাহিরপুর উপজেলার হাওর বেষ্টিত ইউনিয়ন শ্রীপুর দক্ষিণ। তাহিরপুর-মধ্যনগর সড়কে ভবানীপুর গ্রামের ইউপি ভবনের খানিককটা পশ্চিমে শিবপুর গ্রাম ও শিবপুর জলাশয়ের অবস্থান। দীর্ঘদিন ধরে শিবপুর মন্দির ও শিবপুর বিলের কুইড়া (গভীরতম স্থান) নিয়ে নানা ধরেনের রূপকথা প্রচলিত আছে লোকমুখে। বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের অলৌকিক কিছু দেখতে পান এ পথে চলাচলকারী লোকজন। গত সপ্তাহ খানেক ধরে বিলের জলাশয়ে ভেসে বেড়ানো শত শত গজার মাছ কে কেন্দ্র করে প্রতিদিনই উৎসুক জনতা ভিড় বাড়ছে শিবপুর নদী, বিল ও মন্দির এলাকায়। পাশর্^বর্তী গ্রাম থেকে নানা বয়সের ছেলে বুড়ো ও মহিলারাও আসছেন মাছ দেখতে।
শিববাড়ি মন্দির কমিটির সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য অঞ্জন তালুকদার বলেন, চৈত্র মাসে শিববাড়ি কুইড়াটি সেচ দিয়ে মাছ ধরা হয়। সে সময় বিলের কুইড়াতে মাছ পাওয়া যায় না। হঠাৎ করে সপ্তাহ খানেক ধরে অনেক মাছ ভেসে বেড়াতে দেখেন লোকজন। এখন প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে লোকজন এসে ভিড় জমাচ্ছেন শিববাড়ি মন্দির ও কুইড়া এলাকায়।
তাহিরপুর সদর থেকে শিববাড়ি মাছ দেখতে গিয়েছিলেন টাঙ্গুয়া হাওর যাতায়াতকারী ভাটি তাহিরপুর গ্রামের আবিকুল ইসলাম। তিনি জানান, অনেক মানুষ বাড়ি থেকে বিলে মাছের খাবার নিয়ে এসেছেন। অনেকে শুধুমাত্র দেখার জন্য এসেছেন।
শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলী আহমদ মুরাদ বলেন, ইউনিয়নের একাধিক গ্রামের মানুষ আমাকে শিববাড়ি (কুইড়াতে) গজার মাছ ভেসে বেড়ানোর বিষয়টি জানিয়েছেন। আমি এখনো যাইনি তবে দেখতে যাবো।
- গণপরিবহনে কর্মবিরতির আলটিমেটাম/ নির্ধারিত তারিখের আগেই সমাধান হোক
- আলফাত উদ্দিন আহমদ’র মৃত্যুবার্ষিকী আজ