স্টাফ রিপোর্টার
উজান ধলে শাহ আবদুল করিম লোকউৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, শাহ্ আবদুল করিমকে যত বেশি চর্চা করা যাবে তত বেশি সমৃদ্ধ হবে জনপদ। মানুষ সচেতন হবে। সম্প্রীতির চর্চা বাড়বে, মানুষের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ বেড়ে যাবে। বক্তারা উজান ধলে প্রতিবছর সরকারি উদ্যোগে শাহ আবদুল করিম লোকউৎসব করার দাবি জানান। একইসঙ্গে শাহ্ আবদুল করিমের বাড়িতে আসা যাওয়ার পথ ও তার বাড়িতে হওয়া গানের স্কুলের উন্নয়ন এবং শাহ্ আবদুল করিম কমপ্লেক্স নির্মাণেরও দাবি করা হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যা পৌঁনে সাতটায় দুই দিনব্যাপী ১৮তম শাহ আবদুল করিম লোক উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী।
পরে শাহ আবদুল করিম পরিষদের সভাপতি বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের একমাত্র তনয় শাহ নূর পুত্র শাহ নূর জালালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মাকসুদ চৌধুরী, বাংলাদেশ বেতারের উপ-পরিচালক সৈয়দ জাহিদুল ইসলাম, দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান মামুন, ওসি মুক্তাদীর আহমদ, হাসন রাজার প্রপৌত্র সামারিন দেওয়ান, বিকাশ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, শাহ্ আবদুল করিম স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নুপুর চৌধুরী, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি পঙ্কজ দে, সাংবাদিক জিয়াউর রহমান লিটন, কুলেন্দু শেখর দাস, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলী আহমদ প্রমুখ।
শাহ্ আবদুল করিমকে মৃত্যুঞ্জয়ী উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, শাহ্ আবদুল করিম কালক্রমেই আর বড় হবেন। আরও প্রাসঙ্গিক হবেন। তিনি আধুনিক শোষণমুক্ত সমাজ দেখতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন একদিন এই পৃথিবী বাউলের হবে। দিরাই ও উজানধলকে পৃথিবীব্যাপী পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন তিনি। বক্তারা এলাকাবাসীকে শাহ্ আবদুল করিম কে ধরে রাখতে কাজ করার অনুরোধ জানান। দুই দিনের অনুষ্ঠান আয়োজনে সহযোগিতা করেছে- বিকাশ।
আলোচনাসভা শেষে গভীর রাত পর্যন্ত চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উৎসব উপলক্ষে উজানধল মাঠে মেলা বসেছে। শত শত বাউল ও করিম ভক্তরা এসেছেন বিভিন্ন অঞ্চল থেকে।
প্রসঙ্গত, বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার জীবদ্দশায় ২০০৬ সাল থেকে ধল গ্রামবাসীর উদ্যোগে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয় শাহ আবদুল করিম লোক উৎসব।
- জামালগঞ্জে গুচ্ছ গ্রাম পরির্দশনে শামীমা শাহরিয়ার
- পিয়াইন নদী এখন মরা খাল/নদীর ৫ কিলোমিটার এলাকায় চলছে চাষাবাদ