সোহানুর রহমান সোহান
মৌসুমের প্রথম বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরেছে জেলার কৃষকদের মনে। গেল কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ধানে ফুল বের হতে শুরু করেছে। ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে হাওর। সময় মতো বৃষ্টি হওয়ায় রোগ বালাইমুক্ত বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। ধানের পাশাপাশি গরু ছাগলের বিচরণ ভূমিতে ঘাস জন্মাতে সাহায্য করবে এই বৃষ্টি। সঠিক সময়ে বৃষ্টিপাত হওয়ায় পুষ্টি সমৃদ্ধ অধিক ধান পাওয়া যাবে বলছে কৃষি বিভাগ।
জেলায় এই বছর ২ লক্ষ ২২ হাজার ৭৯৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। যা লক্ষমাত্রার চেয়ে প্রায় ৫শ’ হেক্টর বেশি। মোট উৎপাদনের সম্ভাব্য লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ লক্ষ ৯ হাজার ৬৩১ মেট্টিক টন চাল। বোরো আবাদের পর বৃষ্টি না হওয়ায় ধান নষ্ট হবার উপক্রম ছিল। সম্প্রতি বৃষ্টির জন্য কয়েক উপজেলার হাওরে বিশেষ নামাজ এবং দোয়াও করেছেন কৃষকরা। অবশেষে মৌসুমের প্রথম বৃষ্টি পেয়ে খুশি কৃষকরা। গেল কয়েকদিনে জেলার সকল উপজেলায় বৃষ্টিপাতের খবর পাওয়া গেছে। গাছ থেকে ধান বের হওয়ার সময় ফেটে চৌচির হওয়া শুকনো জমিতে বৃষ্টির পানি পড়ায় চলতি মৌসুমে সুনামগঞ্জে বোরোর বাম্পার ফলন আশা করছেন কৃষকেরা। পাশাপাশি গোচারণ ভূমিতে বৃষ্টি ঘাসের উৎপাদন বাড়াবে। এতে গরু-ছাগলের খাবারের অভাব মিটবে।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কুরবাননগর ইউনিয়নের মাইজবাড়ি গ্রামের কৃষক গোলাপ মিয়া বললেন, বৃষ্টির জন্য আমাদের হাহাকার ছিল। বৃষ্টি হওয়ায় ধানের জন্য ভালো হয়েছে। ধানের থোড় (ফুল) বের হবে তাড়াতাড়ি। ধান পাকবে তাড়াতাড়ি।
মইন উদ্দিন বলেন, বৃষ্টি হওয়ায় কি লাভ হইছে, কইয়া (বলে) বুঝানি যাইতো নায়। ধান লইয়া (নিয়ে) চিন্তাত পড়ছিলাম। চাইর পাঁচ দিনের বৃষ্টিতে ফুল থেকে দান বের হওয়া শুরু হইছে (হয়েছে)।
ছালেক মিয়া বললেন, বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ ও দোয়া করেছি আমরা। অবশেষে বৃষ্টি পেয়ে আমরা খুশি। সুন্দরভাবে নতুন ধান বের হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বললেন, হাওরে ইতিমধ্যে ২০ শতাংশের বেশি ধান গাছে ফুল বের হয়েছে। ধানের ফুল যখন বের হয়, তখন পানির প্রয়োজন হয়। ঠিক এই সময় আমরা বৃষ্টি পেয়েছি। আমরা আশা করছি ধান পুষ্ট হবে এবং বাম্পার ফলন হবে।
- শান্তিগঞ্জ-রজনীগঞ্জ সড়ক পরিদর্শনে পরিকল্পনামন্ত্রী
- ভোক্তা অধিকারের বাজার তদারকি/ রমজানের প্রথম দিন চার ব্যবসায়ীকে জরিমানা