লেবুর দামে আগুন/ বড় সাইজের একটি ৪০, ছোট ১৫ টাকা

স্টাফ রিপোর্টার
রমজান মাসে ইফতারের সময় অনেকেই লেবুর শরবত পান করে থাকেন। সারা দিন রোজা রেখে সন্ধ্যায় গলা ভেজাতে লেবুর শরবতই অনেকের কাছে প্রিয়। তবে এবার লেবুর দামে যেনো আগুন লেগেছে। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে দাম। বাজারে ছোট প্রতি হালি লেবুর দাম সর্বনি¤œ ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং বড় সাইজের লেবুর হালি সর্বোচ্চ ১৬০ টাকা। তাতে একটি লেবুর দাম পড়ে সর্বনি¤œ ১২ থেকে ১৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪০ টাকা।
এদিকে খোলা বাজারে চিনি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি। হিসেব মতো বড় একটি লেবুর শরবত তৈরি করতে হলে এক গ্লাস শরবতের দাম পড়ে ২৫-৩০ টাকা। যার ফলে নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে লেবুর শরবত। মৌসুম না হওয়ায় বছরের এ সময়ে বাজারে লেবুর সরবরাহ কম, তাই দাম বেশি বলছেন বিক্রেতারা।
বুধবার সকালে সুনামগঞ্জ শহরের জগন্নাথবাড়ি এলাকায় জয় সেন্টার লেবু দোকানে গিয়ে দেখা যায়, বড় লেবু প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। মাঝারি ১২০ টাকা এবং ছোট লেবু প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়।
জয় সেন্টার লেবু ব্যবসায়ী সুহেল মিয়া বলেন, লেবুর দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কমেছে। আজ বড় লেবু প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়, গত সপ্তাহে ছিল ২০০ টাকা। তাছাড়া মাঝারি লেবু এবং ছোট লেবুর দামও প্রতি হালিতে ১০-২০ টাকা করে কমেছে।
একই রোডের ব্যবসায়ী দুলু চন্দ্র দাশ বলেন, শুধু ছোট লেবু বিক্রি করছি। প্রতি হালি ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
ডিএস রোড এলাকার ব্যবসায়ী মফিজ সরকার বলেন, আমি সবসময় লেবু বিক্রি করি। এই রমজানে লেবুর দাম বেড়েছে। ছোট্ট লেবু প্রতি হালি ৫০ টাকা করে বিক্রি করছি। সীমিত লাভে ব্যবসা করছি। এখন লেবুর সিজন নয়, চাহিদাও বেশি- তাই দাম বেড়েছে।
শহরের হাজীপাড়ার বাসিন্দা দিনমজুর লায়েস মিয়া বলেন, এই রমজানে লেবু আর চিনি কেনা বন্ধ করে দিয়েছি। আমরা গরীব অসহায় মানুষ। এত দামে শরবত খাওয়া সম্ভব নয়।
ওয়েজখালি এলাকার বাসিন্দা রিকশা চালক রিপন মিয়া বলেন, চাল, ডাল সহ সবকিছুরই দাম বেশি। যেগুলো খেয়ে জীবন বাঁচে, সেগুলো কিনতে পারছি না- লেবু কিনব কিভাবে? লেবু ছাড়াই এই রমজান মাস চলা লাগবে।
জেলার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আল আমিন বলেন, বাজারে লেবুর দামের বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে কথা হয়েছে। বাজারে বর্তমানে লেবু কম আমদানি হচ্ছে। তাছাড়া পাইকারি ব্যবসায়ীরাও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বাড়িয়ে লেবু বিক্রি করছে। লেবু কিনে আনতে হচ্ছে মৌলভীবাজার, শ্রীমঙ্গল থেকে। এইজন্যও দাম বেশি। তবে আমরা বাজার মনিটরিং করব, যাতে করে লেবুর দামটা নিয়ন্ত্রণে থাকে।