স্টাফ রিপোর্টার
শহরে বেড়েছে মশার উপদ্রপ। এতে অতিষ্ঠ পৌরবাসি। মশারি ও কয়েল জ¦ালিয়েও মশা থেকে রেহাই মিলছে না। শহরের গুরুত্বপূর্ণ খালগুলোতে ময়লা আবর্জনা জমে মশা মাছির আশ্রয়স্তল হলেও পরিষ্কারের উদ্যোগ কম। এছাড়াও ডাস্টবিনের ময়লা আবর্জনা থেকে মশার উপদ্রপ বাড়ছে। তবে মশা নিধনে ওষুধ ছিটানো ও খালগুলো পরিষ্কার করার কথা জানালেন পৌর মেয়র।
২২ বর্গ কিলোমিটারের জলজোছনার শহর সুনামগঞ্জ। শহরের মাঝ দিয়েই চলে গেছে কামারখাল সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাল। এসব খালে এখন ময়লা আবর্জনার বাগার তৈরি হয়েছে। সেখানেই জন্ম নিচ্ছে মশা- মাছি। চিপসের প্যাকেট, বিস্কুটের প্যাকেট, বাসা বাড়ির ময়লা ও দোকানের আবর্জনায় ভরে গেছে খাল। এসব পঁচে চারপাশে যেমন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, তেমনি মশা মাছির জন্ম নিচ্ছে। এতেই অতিষ্ঠ পৌরবাসি।
বাধনপাড়ার বাসিন্দা অমর চান্দ বলেন, দিনরাত মশা ভনভন করে। খাটে ঘুমালে চারদিক থেকে মশা আক্রমণ করে। ময়লা আবর্জনার কারণে মশা বেড়েছে। পৌরসভা থেকে দেওয়া ডাস্টবিনের ময়লা ঠিকমতো পরিষ্কার করা হচ্ছে না। একারণেও মশার বংশ বাড়ছে।
একই এলাকার বাসিন্দা আব্দুল ছত্তার বলেন, আমাদের পাড়া দিয়ে কামার খাল চলে গেছে। খাল পরিষ্কার থাকলে মশা কম হয়। মানুষ খালে ময়লা আবর্জনা ফেলে দেয়। এতে খালে ময়লা আবর্জনার বাগার হয়ে আছে। মশারি টাঙ্গানো হলেও কয়েল জ¦ালাতে হয়। তবুও মশা কমে না। সন্ধ্যায় ছেলে মেয়ে পড়াশোনা করতে পারে না।
এইচএমপি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সায়েম হাসান বলেন, সন্ধ্যা হলেই মশার উৎপাত শুরু হয়। কয়েল জ¦ালিয়েও পড়া যায় না। এতে পড়াশোনা ব্যহত হচ্ছে আমাদের।
ময়নার পয়েন্টের বাসিন্দা তাফসিরা বেগম বলেন, কিছুদিন আগেও এতো মশা ছিলো না। এখন মশারি কয়েল জ¦ালিয়েও মশার যন্ত্রণা কমছে না। চারদিকে ময়লা আবর্জনা। সবাই ময়লা ফেলছে, কেউ পরিষ্কার করছে না। আমরা মাঝে মাঝে নিজেরা পরিষ্কার করি।
প্রতিদিন পৌরশহরের ডাস্টবিন থেকে ময়লা আবর্জনা অপসারণ করা হচ্ছে জানিয়ে পৌর মেয়র নাদের বখত বললেন, সারাদেশের মতো সুনামগঞ্জেও মশার উৎপাদ বেড়েছে। মশা নিধনের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি আমাদের কাছে রয়েছে। এছাড়াও খালগুলো থেকে ময়লা আবর্জনা অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। পরে ফগার মেশিন দিয়ে ঔষুধ ছিটানো হবে। এতে মশার বংশ বিস্তার রোধ করা সম্ভব হবে।
- দোয়ারায় সুরমা সেতুর কাজ শীঘ্রই শুরু হবে
- পিআইসির অসম্পূর্ণ তালিকায় তথ্য আড়াল