শহিদ দিবসে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সেই উত্তোলন করা হয়নি পতাকা

জগন্নাথপুর অফিস
জগন্নাথপুর উপজেলায় মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়নি। এ ছাড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন না করে বারান্দার গ্রিলের সঙ্গে খুঁটিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এ দুটি ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় অনেকেই।
জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান সুফিয়া খানম ফেসবুকে লিখেছেন, জাতীয় দিবসে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে পতাকা উত্তোলন না হওয়া খুবই দুঃখজনক। এটা মেনে নেওয়ার মতো নয়।
জগন্নাথপুর উপজেলার মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক নুরুল ইসলাম বলেন, জাতীয় দিবসে জাতীয় পতাকার প্রতি এমন অবহেলা প্রশাসনের ব্যর্থতা। সরকারি দপ্তর ও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে এমন অবহেলা দুঃখজনক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৬ সালের শুরুতে উপজেলা সদর বাজারের প্রধান সড়কের পাশে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বাস্তবায়নে ২ কোটি ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। চারতলা বিশিষ্ট এ ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০২০ সালে। একই বছর ভবনটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে হস্তান্তর করা হয়। প্রায় এক বছর পর ২০২১ সালের ১২ আগস্ট পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ভবনটির উদ্বোধন করেন।
জগন্নাথপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সাবেক কমান্ডার আবদুল কাইয়ুম জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এখন মুক্তিযোদ্ধাদের কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করছেন। ভবনটি এখনো তাঁর অধীন। তিনি বলেন, ভুলবশত পতাকা উত্তোলন হয়নি।
জগন্নাথপুরের ইউএনও ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘পতাকা উত্তোলন না হওয়ায় বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব।’
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুদ্দীনের মুঠোফোনে কল দেওয়া হলেও তিনি ধরেননি। তাঁর কার্যালয়ের অফিস সহকারী তাপস চন্দ্র দাস বলেন, ‘ভুলবশত এটা হয়েছে। পরে আমরা খুলে নিয়েছি পতাকা।’
বাংলাদেশের পতাকা বিধিমালার ৬ (১) অনুযায়ী, সরকারি ভবন ও কার্যালয়গুলোতে সব কর্মদিবসে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হবে। আর ৪-এর ২ (ক) বিধি অনুসারে ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।