শান্তিগঞ্জে দুইপক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ১৫, গ্রেপ্তার ৩

স্টাফ রিপোর্টার
শান্তিগঞ্জের উপ্তিরপাড়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। এরমধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়েছে ৫ জন। বৃহস্পতিবার সকাল আটটায় এই ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার উপ্তিরপাড় গ্রামের আলী আহমদ ও সাইফুল ইসলামের লোকজনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। এই দ্বন্দ্বের জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে দুইপক্ষের লোকজন আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এসময় উভয়পক্ষের ৫ জন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়। গুরুতর আহতদের সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আলী পাশা (৪০) ও নূর আলমের (৩৫) অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়া গুলিবিদ্ধ ফজলু মিয়া (৩১)সহ আহতদের সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দ্বন্দ্বে লিপ্ত আলী আহমদ ও সাইফুল ইসলাম পরস্পরকে দোষারোপ করেছেন।
আলী আহমদ বলেছেন, আমাদের সঙ্গে আমার চাচাতো ভাই হয়রত আলী ও আমির আলীদের পারিবারি নানা বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। এই দ্বন্দ্বের বিষয়টি আপোসে মিমাংসা হয়। আমাদের মধ্যে আপোস হওয়ায় গ্রামের কিছু মানুষ ক্ষিপ্ত হয়। তারা আমাদেরকে গ্রামে যেতে বারণ করে রাখে। দুর্ঘটনায় গত বুধবার আমাদের এক ভাতিজা’র মৃত্যু হয়েছে। আমরা সিলেট থেকে জানাযায় এসেছি। আমরা গ্রামে এসেছি বলে প্রতিপক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের উপর হামলা করে। তারা আমাদের লোকজনের উপর গুলিও চালায়।
অপর অংশের নেতা সাইফুল ইসলাম বললেন, আলী আহমদসহ তাদের স্বজনরা উগ্র-দাঙ্গাবাজ। এরা সারাবছর গ্রামে দাঙ্গা-হাঙ্গামা লাগিয়ে রাখে। গ্রামের লোকজন এদের এড়িয়ে চলেন। বৃহস্পতিবার সকালে তাদের পক্ষের রাজা মিয়া, সুজাত মিয়া, আমির আলী, হযরত ও ফারুকসহ বহু লোক আমাদের পক্ষের অনেকের বাড়িতে এসে হামলা করে। এসময় অবৈধ বন্দুক দিয়ে গুলিও চালায় তারা। গ্রামের গুলিবিদ্ধদের সুনামগঞ্জ ও সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরগত চিকিৎসক অনুপম রায় বললেন, আহতদের শরীরে গুলির মত ক্ষত চিহৃ আছে। তাদের আঘাত গুরুতর হওয়ায় সিলেটে পাঠানো হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদ বললেন, এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের অভিযানে ১৫ টি ছুরকি ও ৫ টি ঢাল উদ্ধার হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।