সু.খবর ডেস্ক
পরিবহন শ্রমিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও সড়কে পুলিশের হয়রানি বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে সোমবার থেকে চলতে থাকা সিলেট বিভাগের পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সিলেটের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু সরকার সোমবার রাতে বলেন, ‘আজ রাত সাড়ে ৯টার দিকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে আপাতত। আমরা যে পাঁচ দফা দাবি দিয়েছি সেটা যদি আগামী ৫ জানুয়ারির মধ্যে মেনে নেওয়া না হয়, তবে আমরা আরও কঠোর পদক্ষেপ নেব।’
তাদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- সিলেট জেলা অটোটেম্পু, অটোরিকশা চালক শ্রমিক জোটের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা, সিলেটের আঞ্চলিক শ্রম দফতরের উপপরিচালককে প্রত্যাহার, সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের ওপর দায়ের করা মামলাসমূহ প্রত্যাহার, ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের সকল প্রকার হয়রানি বন্ধ, মেয়াদ উত্তীর্ণ শেরপুর, শেওলা, লামাকাজী, শাহপরাণ ও ফেঞ্চুগঞ্জ সেতু থেকে টোল আদায় বন্ধ এবং চৌহাট্টাসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে কার, মাইক্রোবাস, লেগুনা, সিএনজিচালিত অটোরিকশসহ সকল প্রকার গাড়ির পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা।
সোমবার ভোর থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের চন্ডীপুলসহ নগরীর সবকটি প্রবেশপথে লাঠিসোটা হাতে পিকেটিং করেন পরিবহন শ্রমিকরা। দূরপাল্লার সব ধরনের বাস ও ট্রাক চলাচল বন্ধ ছিল। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু সিএনজিচালিত অটোরিকশা রাস্তায় নামলেও তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
এদিন সকালে দূরপাল্লার কয়েকটি বাস যাত্রী নিয়ে সিলেটে প্রবেশ করলেও কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। ফলে চাকরিজীবীসহ জরুরি প্রয়োজনে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হওয়া যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ শিক্ষার্থী, চাকরিজীবীরা যানবাহন সংকটে পড়েন। অনেকে হেঁটে বা অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে রিকশায় করে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
আবু সরকার বলেন, ‘আমাদের দাবিদাওয়া নিয়ে একাধিকবার বৈঠক করলেও কর্তৃপক্ষ কেবল আশ্বাস দিয়ে যায়। কিন্তু তা আর বাস্তবায়ন করা হয় না। সংশ্লিষ্টদের স্মারকলিপি দিয়েও কাজ হয়নি। তাই আমরা ধর্মঘট ডেকেছিলাম।’
সূত্র : সমকাল
- যাত্রী টানছে অ্যাম্বুলেন্স
- পল্লীর জনপদে নির্বাচনী আমেজ, সম্ভাব্য ছয় প্রার্থী প্রচারে