বিশেষ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি ঘোষণার পর হতাশায় পড়েছেন বিগত কমিটি সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার ইমনের সমর্থকরা। নতুন জেলা কমিটিতে স্থান পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে তাদের মধ্যে। অবশ্য জেলা আওয়ামী লীগের নতুন সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট বলেছেন, কারো প্রতি বিরাগভাজন হয়ে কমিটিতে বাদ দেওয়া নয়, কর্মের মূল্যায়ন হবে নতুন কমিটিতে।
গেল ১১ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হন পর্যায়ক্রমে জেলা আওয়ামী লীগের বিগত কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি নুরুল হুদা মুকুট ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নোমান বখ্ত পলিন।
এর আগে ২০১৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি হয়েছিলেন মতিউর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন। পরে ২০১৭ সালের ২২ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছিল। এর আগে জেলা আওয়ামী লীগের প্রায় ২০ বছর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন নুরুল হুদা মুকুট। নুরুল হুদা মুকুটের সঙ্গে গেল আট বছরে বেশিরভাগ সময়ই ব্যারিস্টার ইমনের বৈরিতা ছিল।
মতিউর ও ইমনের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আধিক্য ছিল ব্যারিস্টার ইমন সমর্থকদের। নুরুল হুদা মুকুটের ঘনিষ্টরা কমিটিতে থাকলেও সংখ্যায় কম হওয়ায় জেলা কমিটির সভায় তারা থেমন ভূমিকা রাখতে পারতেন না। এবারের জেলা কমিটি কেমন হবে, কারা থাকছেন, কারা থাকছেন না, এই নিয়ে গেল চারদিন ধরে দলের নেতা কর্মীদের মধ্যে আলোচনা রয়েছে।
ব্যারিস্টার ইমনের ঘনিষ্ট হিসাবে পরিচিত জেলা আওয়ামী লীগের বিগত কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল আজাদ রুমান বললেন, বিগত কমিটিতে সক্রিয় ছিলাম। ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার ইমনের ¯েœহভাজন ছিলাম, এটাও সত্য। দলের সাধারণ সম্পাদকের প্রতি আনুগত্য থাকা দোষের কিছু দেখছি না। নতুন কমিটিতে স্থান হবে কী-না, এটাও জানি না, দায়িত্ব দিলে কাজ করার চেষ্টা করবো।
জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাড. হাসান মাহবুব সাদী বললেন, বিগত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার ইমনের প্রতি শতভাগ অনুগত ছিলাম সত্য। বুঝতে শেখার পর থেকে ছাত্রলীগের মিছিলে গেছি, পরে আওয়ামী লীগে যুক্ত হয়েছি। আওয়ামী লীগের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ নেই আমাদের বিরুদ্ধে। দলের কমিটিতে স্থান পেলে দলীয় সভানেত্রীর দেওয়া দায়িত্বশীলদের অনুগতই থাকবো।
জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক অ্যাড. নূরে আলম সিদ্দিকী উজ্জ্বল বললেন, গেল দুই দশকের প্রাক্তন ছাত্রলীগ নেতাদের অনেকে আমরা ব্যারিস্টার ইমনের নেতৃত্বে কাজ করেছি। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন, সেভাবেই কাজ করেছি। দলের কাজে ফাঁকি দেইনি কখনোই। বিগত দিনের সততা ও নিষ্ঠার মূল্যায়ন নিশ্চয়ই হবে।
বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন বললেন, ছাত্রলীগ-যুবলীগ হয়ে আওয়ামী লীগে আসা নেতৃত্বকে জেলা কমিটিতে স্থান দেবার প্রত্যাশা করছি।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট বললেন, বিরাগভাজন হয়ে কাউকে বাদ দেবার চিন্তা নেই। ছাত্রলীগ ও যুবলীগে নেতৃত্ব দানকারী ত্যাগী যোগ্যদের দিয়েই ৪৫ দিনের মধ্যে জেলা কমিটি হবে।
- ছাতকে কৃষি উপকরণ বিতরণ
- শান্তিগঞ্জের খাই হাওরের বাঁধ কেটে ব্রীজ নির্মাণ!