স্বেচ্ছাশ্রমে খাল খননে চাষ উপযোগী ৬০ একর জমি

আমিনুল ইসলাম, তাহিরপুর
তাহিরপুরে মাটিয়ান ও কদমতলী গ্রামের কৃষকদের স্বেচ্ছাশ্রমে খাল খননে ৬০ একর জমি চাষাবাদের উপযোগী হয়েছে। মাটিয়ান হাওরের ফল্লিয়ার ডুবা, কদমতলী বিল ও বেতাগড়া বিল এলাকায় বিগত ৫ বছর ধরে মাটিয়ান হাওরের জলাবদ্ধতার কারণে ৬০ একর জমি চাষাবাদ করতে পারতেন না কৃষকরা। প্রতি বছরই জমিগুলো অনাবাদি থাকতো। এবছর জলাবদ্ধতা দূরীকরণের লক্ষ্যে জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুদাচ্ছির আলম সুবল ও শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মাটিয়ান ও কদমতলী গ্রামের কৃষকদের নিয়ে কদমতলী থেকে সিঙগীর দাইড় বিলে টানা ৭দিন নালা খননের কাজ করে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করে দেন। কৃষকরা তাদের পতিত জমি দীর্ঘদিন পর চাষাবাদ করে জমিতে ধানের চারা রোপন করতে পারায় খুবই আনন্দিত।
মাটিয়ান গ্রামের কৃষক মনসুর আলী বলেন, সিংগীর দাইড় হাওরে তার এক একর জমি হাওরে জলাবদ্ধতা থাকায় চাষাবাদ করতে পারেননি। এবছর জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুদাচ্ছির আলম সুবল ও শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম গ্রামের কৃষকদের উৎসাহ দেয়ায় আমরা সবাই স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করে হাওর থেকে পানি সরানোয় জমি চাষাবাদ করতে পেরেছি।
কদমতলী গ্রামের কৃষক আব্দুল খালিক বলেন, তার ২ একর জমি কদমতলী হাওরে রয়েছে। হাওরে জলাবদ্ধতার কারণে তিনি বিগত বছরগুলোতে জমি চাষাবাদ করতে পারেননি। এ বছর হাওরে জলাবদ্ধতা দূর হওয়ায় তিনি তার জমিগুলো চাষাবাদ করেছেন।
জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুদাচ্ছির আলম সুবল বলেন, কদমতলী থেকে সিংগীর দাইড় বিলে প্রায় দেড় কিলোমিটার নালা খনন কাজ করা হয়েছে। গ্রামের কৃষকদের নিয়ে জলাবদ্ধতা দূরীকরণে স্বেচ্ছাশ্রমে নালা খনন কাজে যুক্ত থাকতে পেরে আমার খুবই ভাল লেগেছে।