জামালগঞ্জ প্রতিনিধি
জামালগঞ্জ উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পশ্চিম মাহমুদা গ্রামের চলাচল অনুপযোগী একটি সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করেছে স্থানীয় যুবকেরা। স্বেচ্ছাশ্রমে শনিবার সড়ক সংস্কার কাজ শুরু হয়।
শনিবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, জামালগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম মাহমুদপুর গ্রামের বাসিন্দা রুবেল আহমদ, নাজমুল, চেরাগ আলী, লোকমান, আবুল কালাম, শাহাব উদ্দিন, কয়েছ, লুৎফুর, জিয়াউল, আব্দুল আলী সহ ২০-২৫ জন যুবক মিলে সড়ক মেরামতের কাজ করছে। উড়া, কোদাল নিয়ে মাটি ভেঙে যাওয়া সড়ক চলাচলের উপযোগী করার চেষ্টা করছে তারা।
জানা যায়, গত বছরের বন্যায় ও হাওরের ঢেউয়ে ভীমখালী ইউনিয়নের পশ্চিম মাহমুদ গ্রামের মসজিদে যাওয়ার একশত মিটার সড়ক ভেঙে খানাখন্দে পরিণত হয়। সড়কের এমন অবস্থায় মসজিদে আসা-যাওয়ায় মুসল্লিরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। গত ৮ মাসে সড়ক সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয় নি। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদও সড়ক সংস্কারের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করে নি।
স্থানীয়রা জানায়, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শতশত মুসল্লি ও গ্রামবাসীগণ মসজিদে এবং মেইন সড়কে উঠে স্থানীয় লাল বাজার সহ ও উপজেলা সড়কে আসা যাওয়া করেন। কিন্তু সড়কটি খানাখন্দের কারণে তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। স্বেচ্ছাশ্রমে সড়কটিকে মাটি ভরাট করা হলেও স্থায়ীভাবে পাকা করে দেওয়ার দাবি জানালেন এলাকাবাসী।
পশ্চিম মাহমুদপুর মসজিদের ইমাম মাও. কামরুল হাসান জানান, গত বন্যায় মসজিদের সড়ক খানাখন্দ হওয়ায় মুসল্লিদের মসজিদে আসতে কষ্ট হয়। শুক্রবার মসজিদে জুম্মার নামাজের পর সকলে সিদ্ধান্ত নেন স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সড়কটি মেরামত করা হবে। শনিবার সকাল থেকে ২০-২৫ জন যুবক সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু করেছে। আশাকরি আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে কাজ শেষ হবে।
স্থানীয় ভীমখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান তালুকদার বললেন, বরাদ্দ কম থাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এই সড়কটির কাজ করা যায় নি। স্থানীয় যুবকরা স্বপ্রেণোদিত হয়ে কাজ করায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আগামী বছরে এই সড়কটির কাজ করা হবে।
- চিনির চোরাচালান/ অভ্যন্তরীণ বাজারের অস্থিরতাই দায়ী
- গ্রামবাসীর উদ্যোগে সড়ক