আমিনুল ইসলাম,তাহিরপুর
তাহিরপুর উপজেলার সর্বত্রই রয়েছে ঝুলন্ত পায়খানার ব্যবহার। এর অধিকাংশই রয়েছে হাওর ও নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোতে। সরকার দেশব্যাপী শতভাগ স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে তাহিরপুরে কাজ চালালেও এ পর্যন্ত তাহিরপুরে ৩০ ভাগ স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা স্থাপিত হয়েছে বলে তথ্যে জানা যায়। এখন পর্যন্ত উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ২৪৯টি গ্রামের ৭০ ভাগ লোকই খোলা বা ঝুলন্ত পায়খানা ব্যবহার করছে। ফলে নদী নালা হাওর বাওরের পানির সাথে মল মিশ্রিত হয়ে পানি দূষণসহ পরিবেশ বিপর্যয় ঘটছে। এ থেকে ডায়রিয়া, আমাশয়, কৃমি, জন্ডিস সহ নানান পানিবাহিত রোগের জীবাণু ছড়াচ্ছে বলে অভিজ্ঞমহল অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের রাজধরপুর গ্রামের হাদিসনূর মিয়া বলেন, আমাদের গ্রামে ৩৮টি পরিবার রয়েছে। এরমধ্যে একটি পরিবার ছাড়া আমরা সাবাই বাঁশের তৈরী ঝুলন্ত পায়খানা ব্যবহার করে আসছি। তিনি আরো বলেন, আমাদের গ্রামটি দুর্গম এলাকাতে থাকার কারণে সরকারি বা বেসরকারি সংস্থাদের আসা যাওয়া নেই।
একই ইউনিয়নের নোয়ানগর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কাদির বলেন, তাদের গ্রামে দুটি পাড়া মিলে ৭০টি পরিবার রয়েছে। এদের মধ্যে দু’চারটি পরিবার ব্যতীত সবগুলো পরিবারই খোলা পায়খানা ব্যবহার করে আসছে।
তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রিয়াজ হাসান বলেন, শতভাগ স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহার নিশ্চিত না করা হলে রোগব্যাধি সহ পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে এলাকার লোকজনকে রক্ষা করা যাবে না।
তাহিরপুর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো. আল আমিন বলেন, ১৫ অক্টোবর জাতীয় স্যানিটেশন দিবস। চলতি মাসের শেষের দিকে স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহারে জনসচেতনতা মূলক একটি সেমিনার উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে করার পরিকল্পনা রয়েছে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রায়হান কবির বলেন, স্যানিটেশন মাস পালন উপলক্ষ্যে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর সাথে আলোচনা করে স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহার উন্নীতকরণে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
- ক্রমবর্ধমান শিশু ধর্ষণ ঘটনা/আইনি বিচার প্রক্রিয়ার সাথে সামাজিক প্রতিরোধ জাগ্রত হোক
- নির্যাতনে গৃহবধূর আত্মহত্যা, স্বামী কারাগারে