১১দফা দাবি বাস্তবায়নে বাকবিশিস’র স্মারকলিপি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ কলেজ—বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (বাকবিশিস) সুনামগঞ্জ জেলা শাখা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১১দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন বাকবিশিস সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি সহকারী অধ্যাপক শুভঙ্কর তালুকদার মান্না, সিনিয়র সহ সভাপতি সহকারী অধ্যাপক রামানুজ রায়, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মো. জামাল হোসেন, সহ সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক শাহীনা চৌধুরী রুবি, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক দুলাল মিয়া, অর্থ সম্পাদক প্রভাষক কাঞ্চন বৈদ্য এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রভাষক রজত কান্তি রায়, সদস্য প্রভাষক হিমাদ্রি শংকর তালুকদার ও স্বপন রায় প্রমুখ।
১১ দফা দাবিগুলো হলো—
শিক্ষা ব্যবস্থার জাতীয়করণ, বিচ্ছিন্ন—বিক্ষিপ্ত সরকারিকরণ নয়।
সরকারি শিক্ষক—কর্মচারীদের ন্যায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক—কর্মচারীদেরও শতভাগ উৎসবভাতা, বাড়িভাড়া ও চিকিৎসাভাতা প্রদান করা।
উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ এবং উচ্চ মাধ্যমিক কলেজের জ্যেষ্ঠ প্রভাষকের পদ বাতিল করে পূর্বের ন্যায় সরকারী অধ্যাপকের পদ চালু করা।
বেসরকারি কলেজে অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ে নিয়োগকৃত শিক্ষকদের এমপিওভুক্তসহ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক—কর্মচারীদের অবিলম্বে এমপিও ভুক্ত করা।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক—কর্মচারীদের জন্য সরকারি শিক্ষক—কর্মচারীদের ন্যায় অবসর (পেনশন) সুবিধা প্রদান করা। তবে এই বিধান না হওয়া পর্যন্ত অবসরে যাওয়ার তিন মাসের মধ্যেই কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর তহবিলের টাকা প্রদান করা।
ইউনেস্কোর সুপারিশ অনুযায়ী জাতীয় বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ানো।
২০১০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করা এবং এর আলোকে বেসরকারি কলেজে সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপকের পদ সৃষ্টি করা।
শিক্ষা প্রশাসনে বেসরকারি শিক্ষকদের আনুপাতিক হারে পদায়ন করা।
২০১৮ সাল থেকে সর্বশেষ সরকারিকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক—কর্মচারীদের অবিলম্বে পদায়ন পূর্বক বেতন—ভাতা প্রদান করা।
অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ পদে পূর্বের ন্যায় অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করা।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের পদে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষক নিয়োগ না করা।