২৮ ধানে মাথায় হাত

স্টাফ রিপোর্টার
‘৫০ কেয়ার (১৬ একর দুই কেয়ার) ক্ষেতের মাঝে আগুল (আগাম) করছিলাম পাঁচ কেয়ার, খোরাকির (খাওয়ার লাগি) লাগি ২৮ ধান কইরা (করে) মনে করছিলাম আগে কাটমুনে। অখন পাঁচ কেয়ারের পাঁচ কেয়ারঔ নষ্ট।
শাল্লার কান্দিগাঁও গ্রামের কৃষক আব্দুল হান্নান ২৮ ধানের সর্বনাশের কথা এভাবে জানাচ্ছিলেন।
মধ্যনগরের ঢুলপশি গ্রামের কৃষক কৃষ্ণ কুমার তালুকদার বললেন, ‘তিন-চাইর দিন ধইরা (ধরে) ধানের মাথা নুইয়া পইড়া যার (নুয়ে পড়ছে), পরে ধানের গোছা মরি যার।’ তিনি ১৯ কেয়ার জমি চাষাবাদ করেছিলেন, এর মধ্যে আগাম ধান কাটার জন্য পাঁচ কেয়ার করেছিলেন ২৮ ধান এবং ২৯ করেছিলেন ১৪ কেয়ার, ২৯ ধান ভালো থাকলেও ২৮ ধানের সর্বনাশ হয়েছে। কেন এমন হলো, তা বুঝতে পারেন নি তিনি।
শাল্লা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছত্তার মিয়া বললেন, ২৮ ধান ছাড়া অন্য ধান এবার ভালো হয়েছে। ২৮ ধানের অবস্থা ভালো নয়।
জেলা সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম অবশ্য বলেছেন, কেবল ধর্মপাশা মধ্যনগরে ২৮ ধানের কিছু ক্ষতি হয়েছে। অন্য উপজেলায় ক্ষতি হয়নি। ১২ উপজেলায় ৩৫ হাজার হেক্টর ২৮ ধান চাষাবাদ হয়েছে। এরমধ্যে পাঁচ ভাগেরও কম ধানের ক্ষতি হয়েছে। যারা কৃষি বিভাগের পরামর্শ মোতাবেক ছত্রাক নাশক প্রয়োগ করেছেন, তাদের ধানের কোন ক্ষতি হয় নি।